শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

জীবননগরে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষককে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

জীবননগরে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষককে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুজন আলীর (৩০) গলিত লাশ উদ্ধারের দু’দিনের মাথায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।  গ্রেপ্তাককৃতরা পু্র্ব পরিকল্পিত ভাবে সুজন আলীকে পালাক্রমে বলাৎকারের পর তাকে হত্যা করে বিলের কচুরিপানার মধ্যে লাশ ফেলে দেয়। এ ঘটনার ২০ দিনের মাথায় পুলিশ গত ২৬ অক্টোবর সুজন আলীর গলিত লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন।

উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সুজন আলী জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। সুজন আলী অবিবাহিত এবং মেয়েলী স্বভাব প্রকৃতির ছিল বলে এলাকাবাসীর দাবী। তিনি জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামে একটি বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন।

জানা যায়, সুজন আলী বিভিন্ন মানুষের সাথে তার গোপন অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। একই ভাবে গত ৬ অক্টোবর রাতে সুজন তার ভাড়া বাড়ী থেকে মেদিনীপুর গ্রামের মৃত আনার মোল্যার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক রিজ্জাক(৫৫),শাখারিয়া গ্রামের মৃত ওয়াদ আলীর ছেলে মজিবর রহমান(৪০) ও মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মহিউদ্দিন মহিদের ডাকে সাড়া  দিয়ে গোয়ালপাড়া মোড়ে যায়। সেখান থেকে তাকে মাঠের ভিতরে নিয়ে তারা পালাক্রমে সুজনকে বলাৎকার করে। সুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে মারা গেছে চিন্তা করে তারা নিড়ানি দিয়ে বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে  আঘাত করে মৃত্যু  নিশ্চিত করে। এ অবস্থায় রিজ্জাক,মহি ও মজিবর ঘটনা আড়াল করতে সুজনের লাশ মেদিনীপুর মাঠে পার্শ্ববর্তী ঘাড়কাঠি বিলের কচুরিপানার ভিতরে ফেলে চলে যায়।

এদিকে পরিবারের সদস্যরা শিক্ষক সুজন আলী নিখোঁজ হওয়ায় ঘটনার কয়েক দিন পর জীবননগর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে। কিন্তু কোথাও কোন হদিস না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় গত ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মাঠে কাজ করা লোকজন ঘাড়কাঠি বিলের কচুরিপানার ভিতরে গলিত পচা কঙ্কালসার লাশ দেখতে পান। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুজনের গলিত লাশ উদ্ধার করেন। লাশটি কঙ্কালসার হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা প্রথমদিকে লাশটি সনাক্ত করতে হিমশিম খেতে হয়। পরবর্তীতে সুজনের শরীরে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে সুজনের লাশ বলে তারা নিশ্চিত হন।

এ ঘটনায় পুলিশ নড়েচড়ে বসে। অনুসন্ধান করতে থাকে ঘটনার সাথে কারা জড়িত। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত রিজ্জাক,মহি ও মজিবরকে গ্রেফতার করে ব্যাপক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্কুল শিক্ষক সুজন আলীকে বলাৎকারের পর হত্যা করে লাশ ঘাড়কাঠি বিলের কচুরিপানার ভিতরে লুকিয়ে রাখে বলে স্বীকার করে।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ শুরুতেই রিজ্জাকের প্রতি তাদের অভিযোগের তীর থাকলেও পুলিশের গড়িমসির কারণে ঘটনার অনেক পরে সুজন আলীর কঙ্কালসার গলিত লাশ পরিবারের ভাগ্যে জুঁটলো। রিজ্জাক আলীকে পুলিশ ঘটনার মাঝামাঝি সময়ে আটক করলেও দায়সারা জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রিজ্জাক,মজিবুর ও মহিউদ্দিন মহিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরবি/জেআই

Link copied!