ছাত্রজীবন থেকেই বাড়ির উঠানে ও আশপাশের জমিতে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগাতেন। বলা যায় তিনি চারা রোপণ ও পরিচর্যা করতে ভালোবাসেন। তবে গাছের পরিবেশগত ইতিবাচক দিকটিও তিনি সব সময় মাথায় রাখেন। পেশাগত জীবনে শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে তিনি সফল নার্সারি উদ্যোক্তা হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
তিনি গৈলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নির্মল মন্ডল। বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
শিক্ষক নির্মল মন্ডল জানান, ছেলেবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বাগান করবেন। সেখানে থাকবে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ, যা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশ ও মানুষের কল্যাণও করা যাবে।
পড়ালেখা শেষ করে জীবনসংগ্রামে নামতে হয়। শিক্ষকতার চাকরি করতে গিয়ে আর সময় হয়ে ওঠেনি। তবে মনের ভেতরের স্বপ্নটা রয়ে যায়। সেটার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক সময় চলে যায়।
স্থানীয় রাংতা নার্সারির প্রতিষ্ঠাতা মহিবুল্লাহ জানান নির্মল মন্ডল স্যার আমার কাছ থেকে যারা সংগ্রহ করে বর্তমানে ছাদ বাগান করে ড্রাগন চাষ করে বাম্পার ফলনে ড্রাগন বিক্রি করে আয় করছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা।
নির্মল মন্ডল আরো জানান, গাছ লাগানের বিকল্প কিছু নেই, গাছ মানুষের জীবনে অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সমাজে গাছ যত বেশি ততো মানুষের বেঁচে থাকার জীবন যুদ্ধে অপুর্ন বয়ে আনে। গাছ আমাদের জীবন, গাছে অন্য সকলের চেয়ে পরিশ্রম কম, সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দেয়া রোগ বিরাগ হলে কীটনাশক দেয়া, অল্প পরিশ্রম করেই সকলে বাপ্পার ফলন লাভ করতে পারে।
নির্মল মণ্ডল আরো জানান, শিক্ষকতা করে যে বেতন পান তাতে পরিবার নিয়ে ভালোভাবেই চলছে সংসার। তবে নার্সারিটি করেছেন নিজের দেখা স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের কথা ভেবেই। মূলত বাড়তি আয়ের জন্যই ছাদ বাগান করেছেন।
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবু পিযুষ রায় বলেন, আগৈলঝাড়া এলাকার দেশি মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। তাই এই এলাকায় দিনে দিনে মাল্টা চাষ বাড়ছে। এখানে ব্যাপক পরিমাণে মাল্টা চাষ করা হলে দেশের বাইরে থেকে মাল্টা আমদানি কমে আসবে। এতে এখানকার মানুষ লাভবান হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :