৩৬ বছর ধরে এক হাতে ভর করে চলেন প্রতিবন্ধী বাচ্চু মিয়া (৪৭)। বসে বসেই তিনি চলেন তাও আবার এক হাতে ভর করে। এভাবেই চলছে তার জীবিকা উপার্জন। নিজের চলার জন্য তিনি চান একটি চেইন চালিত রিকশা। অসহায় হতভাগা প্রতিবন্ধী বাচ্চু মিয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গোপীনাথপুর গ্রামের মুত মকবুল হোসেনের ছেলে।
জন্মের ১০ বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন বাচ্চু মিয়া। এরপর অনেক চিকিৎসা করিয়েও আর ভালো হননি তিনি। হয়ে যান একজন অচল মানুষ। সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারেননি। হারিয়ে ফেলেন স্বাভাবিক চলার ক্ষমতা। এরপর থেকে তিনি বসে বসে বাম হাতে ভর করে চলেন।
পরিবারের ভরণপোষণ যোগাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে এক হাতে ভর করে চলা বাচ্চু মিয়াকে। এক হাতে ভর করেই মানুষের নিকট থেকে সাহায্য হিসাবে যা পান তা দিয়েই স্ত্রী, ৩ ছেলে নিয়ে চলে তার অভাবের সংসার।
সকালে বাড়ি থেকে বের হন আর ফিরেন গভীর রাতে। কোনদিন বাড়িতে আসেন আবার কোনদিন বাজারেই তিনি শুয়ে রাত কাটান।প্রতিদিন বাচ্চু মিয়া মানুষের কাছ থেকে চেয়ে ৩-৪শ টাকা পান। এরকম কষ্টেই চলে তার জীবন ও সংসার।
বাচ্চু মিয়া জানান,অনেক কষ্টে তাদের সংসার জীবন চলছে। কেউ তাদের খবর নেয় না। চলার জন্য অনেকের কাছে একটি চেইনচালিত রিকশা চেয়েছেন কিন্তু কেউ দেননি। একটি রিকশা হলে তিনি নিজে নিজে চলতে পারতেন।
প্রতবন্ধী বাচ্চু মিয়ার ছোট ভাই রুহুল আমিন বলেন, আমার ভাই এক হাতে ভর করে চলতে খুব কষ্ট হয়। তারে যদি কেউ একটা চেইনচালিত রিকশা দিত তবে সে এই রিকশা দিয়া চলতে পারতো।
বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী হাতে ভর দিয়া চলে। এতে তার খুব কষ্টি অয়। একটা চেইনচালিত গাড়ি দিলে তার সুবিধা অইতো। আমার স্বামীর জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা কইরা দেইন।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কৃষ্ণ পাল এ বিষয়টি জানানোর জন্য প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান।তিনি বলেন প্রতিবন্ধী বাচ্চুর খোঁজ নিতে তার সাথে যোগাযোগ করা হবে।