ঢাকা শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ১

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ১

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সুলতান হোসেনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে সোহরাব উদ্দীন (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সুলতান হোসেন জগন্নাথপুর খলিশাপাড়া গ্রামের মৃত আফসার ব্যাপারীর ছেলে।

জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর সুলতান ও আরিফুল ইসলাম আরিফের (৩৮) দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে সুলতান ও জমীর উদ্দীন জখম হন। পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রথমে স্থানীয় চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে সুলতানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে সুলতানের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ উদ্দীন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে- জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আবেদ পন্ডিতের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৮), মৃত ভরসা আলীর ছেলে সাহাবুদ্দিন (৪৫), সোহরাব উদ্দীন (৫৫), সাহাবুদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান (২২) ও একই এলাকার ইজারুল ইসলামের আবু সাঈদ (২৩)।

এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানের মৃত্যু হলে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এজহারনামীয় আসামি সোহরাব উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত সুলতানের ছেলে পলাশ উদ্দীন এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার পিতা সুলতানের বিরোধ চলে আসছিল।

সেসব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড়ে সুলতান হোসেনের সঙ্গে আসামিদের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আসামিরা ধারালো দা, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে সুলতানের ওপর হামলা করে। এসময় ২ নম্বর আসামি সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে ১ নম্বর আসামি আরিফ তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে সুলতানের মাথায় কুপিয়ে জখম করে। এসময় প্রতিবেশী জমির উদ্দীন (৪৪) ঠেকাতে গেলে আসামি
সোহরাব উদ্দীন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জমিরকেও পিটিয়ে জখম করে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, মামলার ভিত্তিতে আসামি সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুলতানের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!