ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের নেপথ্য কাহিনী ফাঁস

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের নেপথ্য কাহিনী ফাঁস

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

অবশেষে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের নেপাথ্য কাহিনী ফাঁস হয়েছে। প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেছেন, আবু সাঈদের বুক গুলিতে ঝাঝরা ছিল। সরকারের মন মতো প্রতিবেদন দিতে ঢাকা থেকেও তাকে হুমকি দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নব নিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের অপসারণ ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভের সময় ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা হয়, তুমি সরকারি চাকরি করে কীভাবে সরকারের বিপক্ষে এই রিপোর্ট দিতে পারো। চূড়ান্ত প্রতিবেদন যখন দিতে যান, তার আগে ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রতিবেদন দেওয়ার সময় রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমান চার্জে ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের লোকও ছিলেন। তাদের সামনেই তাকে বাধ্য হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।

ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ওনারা (ডা. মাহফুজসহ উপস্থিত অন্যরা) চেয়ছিলেন আমি যেন হেড ইনজুরি দিয়ে ইউরেজোনিক শক দেখিয়ে দেই। কিন্তু আমি তাদের চাপের কাছে মাথা নত করিনি। আমার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ‘দ্য ডেড ওয়াজ ডিউ টু অ্যাভোব মেনশন ইনজুরিস হুইচ ওয়াজ এন্টিমন্টেম অ্যান্ড হোমিসাইডাল।’

তিনি বলেন, সবাই ভাবছে হেড ইনজুরির (মাথার আঘাত) কারণে আবু সাঈদ মারা গেছে। হেড ইনজুরি হলে সাধারণত ব্রেনে রক্তক্ষরণ থাকে। স্ক্যামবোল ফ্রাকচার থাকে। সাঈদের ক্ষেত্রে এগুলো কোনটাই ছিল না। আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। আমাকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!