ঢাকা শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪

ল্যাপটপ লোপাটের ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি মাদ্রাসা সুপারের

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

ল্যাপটপ লোপাটের ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি মাদ্রাসা সুপারের

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের শেখ ফজিলাতুন নেছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ল্যাপটপ লোপাটের ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সুপার ফখরুল ইসলাম আনসারী। তার দাবী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে একটি পক্ষ নিজেরাই ল্যাপটপগুলো সরিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শহরের একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সুপার ফখরুল ইসলাম আনসারী বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের সহ-সুপার ফজলুর রহিম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙ্গিয়ে ভুয়া পরিচয় দিয়ে ছাত্র ও অছাত্র নামধারী গত কয়েক মাস থেকে আমাকে আগাম চাকুরীচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আমাকে হুমকি, ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি পেতে ব্যর্থ হয়ে আমি ছুটিতে থাকাকালীন আনুমানিক ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর কৌশলে মাদ্রাসার ল্যাব কক্ষে ১৭টি ল্যাপটপের মধ্যে ৮টি ল্যাপটপ লোপাট করে ফেলে। পরে ভূয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য মাসুদ ও রাজিব উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মাঈনুল ইসলামের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তিনি তদন্তে আসলে ১৭টি ল্যাপটপের মধ্যে মাত্র ৯টি ল্যাপটপ পেয়ে বাকী ০৮টি ল্যাপটপের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিক্ষক-কর্মচারী কেউ সদ উত্তর দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তিনি আমাকে লিখিতভাবে চুরি হওয়া ল্যাপটপগুলো উদ্ধার করে ল্যাবে স্থাপন করার কথা জানায়।

তিনি জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ষড়যন্ত্রকারীদের বিভিন্ন অপকৌশলের কারণে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে ছুটিতে থাকতে হয়। তবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ও কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তিনি পুনরায় মাদ্রাসায় যোগ দেন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন।

মাদ্রাসায় যোগদানের পরই তিনি চুরি হওয়া ল্যাপটপগুলো উদ্ধারে শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। এরপর একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে বলা হয়, ল্যাপটপগুলো উদ্ধার করতে হলে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে। তিনি প্রস্তাবটি প্রথমে প্রত্যাখ্যান করলেও পরে ল্যাপটপগুলো উদ্ধারের প্রয়োজনে কিছুটা শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আবু বকর সিকদারের মাধ্যমে জানতে পারেন, মো. নোমান সিকদারকে দশ হাজার টাকা দিলে ল্যাপটপগুলো পাওয়া যেতে পারে। সেই অনুযায়ী তিনি টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেন।

এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে বস্তাবন্দি অবস্থায় চারটি ল্যাপটপ পাওয়া যায়। পরে আরও দুটি ল্যাপটপ পাওয়া গেলেও বাকি দুটির সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা মহোদয়গণকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!