"সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ" প্রতিবাদ্যে বরগুনা জেলায় ৫৩তম জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার জাতীয় ভাবে সমাবেশ দিবস পালিত হয়ে থাকে। আজ শনিবার জেলা প্রশাসন ও বরগুনা সমবায় বিভাগ যৌথভাবে দিবসটির আয়োজন করে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সকাল দশটায় জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সমবায় দিবসের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ-উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একটি শহরে শোভাযাত্রা বের হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদ প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা। সভাপতিত্ব করেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমিন।
আলোচনা সভায় বরগুনার কৃষক, মৎস্য ও বিভিন্ন পেশার সমবায় সমিতির প্রতিনিধিগণ আলোচনা অংশ গ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন সমবায় সমিতির সাফল্যতা তুলে ধরে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা বলেন, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমবায় অধিদপ্তরের আত্মপ্রকাশ হলেও কালের বিবর্তনে এর জৌলুশ হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে সমবায় বিভাগকে সংস্কার করে এর গতিশীলতা করতে পারলে এর সফলতা ফিরে আসবে।
অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, সমবায় সমিতির মাধ্যম বরগুনা জেলার সকল সমবায় সমিতির সদস্যদের বরগুনা সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসলে এর সফলতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, সমবায় সমিতিকে ঋণ প্রদান ও উৎপাদনের গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে গ্রামে একটি মডেল সমবায় সমিতি গড়ে তুলুন। সকলে মিলে এমন একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন যার মাধ্যমে সকল রকমের সহযোগিতা পেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, দিবসের মধ্যে আটকে না থেকে দিবসের বাহিরে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাজ করলে সমবায়ের যে সম্ভাবনা তার সফলতা লাভ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :