মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের শুকুর কান্দে নামক স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে ঘন্টাব্যাপী দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোর রাতে ডাকাতের দল দূরপাল্লা যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে। ডাকাতের অস্ত্র ও ছুরিকাঘাতে আহত হয় ৪ জন। এসময় একটি ট্রাক পালাতে গিয়ে সড়কের পাশে গভীর খাদে পড়ে যায়। সড়কে টহল না থাকা ও গাংনী থানা পুলিশের নিরব ভূমিকায় ডাকাতি ও ছিনতাই এর ঘটনা ঘটছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন অনেকেই।
ডাকাতের কবলে পড়া বেশ কয়েকজন জানান, রাত তিনটার দিকে সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসের গতিরোধ করে ডাকাতরা। ২০-২৫ জনের ডাকাত দলটি যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নেয় ডাকাতরা। এ সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। একই সময়ে সড়কে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক ডাকাতি করে তারা। এ সময় একটি ট্রাক পালাতে চেষ্টা করলে সেটি সড়ক থেকে ছিটকে রাস্তার পাশে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে আহত হন ট্রাকের চালক ছাতিয়ান গ্রামের সুমন ও তার সহকারি। ডাকাতি শেষে ডাকাতরা মাইক্রোবাস যোগে ঘিটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, সড়কে গাংনী থানা পুলিশের টহল না থাকা ছাড়াও পুলিশের নীরবতায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও ডাকাতরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। গত ৩ অক্টোবর রাতে শুকুরকান্দির অদূরে আকুবপুর নামক স্থানে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপরেও পুলিশ টহল জোরদার করেনি।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এই ডাকাতি কাজে যারা জড়িত তাদেরকে শনাক্ত করে আইনানক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :