ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নদীতে নামবে জেলেরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও ইলিশ শিকারে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। ৩ নভেম্বর মধ্য রাত থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাটের মাঝের চর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার ৮০ কিলোমিটার নদীতে মাছ শিকার করতে নামবেন জেলেরা। অভিযান সফল হওয়ায় আগামীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন জেলা মৎস্য বিভাগ।

ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে ইলিশ বিক্রি, মজুত ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স কমিটি শরীয়তপুরের ৮০ কিলোমিটার পদ্মা নদীর অংশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ৩ নভেম্বর থেকে ইলিশ শিকারে নামবে জেলেরা। মাছ শিকারের প্রস্তুতিতে নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটছে শরীয়তপুরের জেলে পল্লীগুলোতে। জাল আর মাছ ধরার নৌকা মেরামত করে আগেই প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন তারা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে নদীর পাড়ের মাছের আড়ৎগুলো।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন উপলক্ষে ২০ হাজার জেলে পরিবারকে নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য ২৫ কেজি করে ৫০০ মেট্রিকটন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে জেলায় ২৫ হাজার ৮২৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে কাজ করছেন জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ।

জয় নামের এক জেলে বলেন, অভিযানের সময় আমরা মাছ ধরা বন্ধ রেখেছেন। অভিযান শেষে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছি এখন। তবে অভিযানের সময়  যে সহযোগীতা পেয়েছি তা আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

আরেক জেলে বলেন, মাছ ধরেই আমাদের জীবন চলে। এই অভিযানের সময় আমরা মাছ ধরিনা তাই সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চাল এর ব্যাবস্থা করে। এর পাশাপাশি অন্য কিছুর ব্যাবস্থা করলে ভালো হতো।

জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, অভিযান সফল হওয়ায় আগামীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।