মাদক ব্যবসা, মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়া সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ‘মাদক মাফিয়া’ খ্যাত ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সিডির মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সোহরাব মিয়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর বাজার সংলগ্ন নেওয়ানী পাড়ার ইলাম উদ্দিনের ছেলে এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরের ছোট ভাই। তার বিরুদ্ধে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি মাদক ব্যবসা করা সহ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কুড়িগ্রাম শহরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে মাদক বিক্রেতা হিসেবে তার নাম পেয়েছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাত্রাপুর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ শুধু মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নয়, মাদক ব্যবসা এবং জুয়ার টাকার অংশ থানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য থানার লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে সোহরাব। অতীতে তার বিরুদ্ধে থানায় বারবার অভিযোগ করেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
’যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘ সোহরাব এই এলাকার মাদক মাফিয়া। এলাকার যুব সমাজকে মাদকের ছোবলে সে শেষ করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পুলিশ ও প্রশাসনে অভিযোগ দেওয়া হলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি নিজে চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এসব বিষয় উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে কোনও কাজ হয়নি।’
ওসি নাজমুল আলম বলেন,‘ সোহরাবের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে।
’থানার লাইনম্যান হিসেবে কাজ করা প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘ বিষয়টি আমার জানা নেই। অতীতে তার এমন কোনও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে।’
আপনার মতামত লিখুন :