কার্তিকের মাঝামাঝি এসে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে কুড়িগ্রামের পথ-ঘাট, দীগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, সবুজ প্রকৃতি, চরাঞ্চল সহ নদী এলাকা সমুহ। এ মৌসুমে আজকেই সবচেয়ে বেশি কুয়াশা পড়েছে বলে জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে স্বল্প ও দূরপাল্লার যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত সড়ক সূর্যের দেখা মেলেনি।
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ বলছেন, কুড়িগ্রামে এ মৌসুমে এর আগে তারা এত কুয়াশা দেখেননি। সকাল ৮টার দিকেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রয়েছে। রাতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। ঘন কুয়াশার কারনে পথ ঘাট ঠিকমতো দেখতে পারছেন না তারা।
কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরে কুয়াশা পড়ছে। কিন্তু আজকে খুব বেশি কুয়াশা পড়েছে। তবে ঠান্ডা এখনো খুব বেশী অনুভুত হচ্ছে না। ঘন কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে, শীত আসছে।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের রিকশা চালক আয়নাল বলেন, গ্রামের রাস্তায় অনেক কুয়াশা। ভোরে চারিদিকের কোন কিছুই ঠিকমতো দেখা যাচ্ছিল না। তাই মহাসড়কে ধীরে ধীরে রিকশা চালিয়ে এসেছি।
তবে তাপমাত্রা উঠানামা করার কারনে এখনও ঠান্ডার প্রভাব পরেনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শীত পুরোপুরিভাবে জেঁকে বসতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, `তাপমাত্রা ২১-২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হিমালয়ের হিম বাতাসের আগমনের মাধ্যমে শীত পুরোপুরি শুরু হতে পারে। আজ কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।`
আপনার মতামত লিখুন :