ঢাকার ধামরাইয়ে স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মৃত্যুর দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সাহাদাত হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে মির্জাপুর ও ধামরাই থানার পুলিশ। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ধামরাই ও মির্জাপুর থানার পুলিশ এই লাশ উত্তোলন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এসময় ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য উপস্থিত ছিলেন। মৃত সাহাদাত হোসেন ধামরাই উপজেলার যাদবপুর এলাকার মৃত শওকত হোসেনের ছেলে। সাহাদাতের ছোট দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
সাহাদাতের মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ থাকায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
মৃত সাহাদাতের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, প্রায় দুই মাস পূর্বে নিখোঁজের এক দিন পর খবর আসে মির্জাপুরের একটি গ্রামে আমার স্বামী অজ্ঞান অবস্থায় পরে আছে। খবর পেয়ে আমরা মির্জাপুর থানার শেউরাতুড়ি গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে সাথে সাথেই মির্জাপুর কমোদনী হাসপালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তখন বলে যে হার্ট অ্যাটাকে সাহাদাতের মৃত্যু হয়েছে। পরে লাশসহ আমরা সবাই ধামরাই নিজ গ্রাম যাদবপুরে ফিরে আসি এবং আমার স্বামীর জানাজা সম্পূর্ণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এর কিছু দিন পর আমাদের মনে সন্দেহ হয় যে আমার স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তো তার লাশ মির্জাপুরে যাওয়ার কথা না। তাকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছিলো। এমন সন্দেহ থেকেই আদালতে মামলা করা হয়। পরে আদালত লাশ উত্তোলেন করে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন। পরে আজ দুই থানার পুলিশের উপস্থিতিতেই লাশ উত্তোলন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :