ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪

হাইমচরে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

হাইমচরে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুরের হাইমচরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও হাইমচর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আহসান হাবিবকে (২৭) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে উপজেলা বিএনপি নেতা জলিল মাষ্টারের কর্মীরা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় হাইমচর সরকারি কলেজের সামনে চেয়ারম্যানের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে।

পরে তাকে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার মিরাজ হোসেন নামে চেয়ারম্যান জলিল মাষ্টারের ভগিনাকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে আহসান হাবিবের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

আহসান হাবিব উপজেলার দক্ষিন আলগী ইউনিয়নের গন্ডামারা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আবু বকর পাটওয়ারীর ছেলে এবং হাইমচর সরকারি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

আহত আহসান হাবিব জানান, গত ৪ আগস্ট হাইমচর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় গত ১৭ আগস্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন পাটোয়ারীসহ ৪৩ জনের নামে তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নিতে উপজেলা বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ আলগী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মাস্টার আমাকে বার বার হুমকি দেয়। সেই জের ধরে তারকর্মীরা আমার উপর হামলা চালায়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক বিপ্লব দাস জানান, আহসান হাবিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। ইমারজেন্সি থেকে তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসরা মনে করছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান জলিল মাষ্টার বলেন, ছাত্রদলের নেতা আহসান হাবিব সোমবার কলেজে এসে অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ করে। আজকে সকালেও সে কলেজে যায় এবং আমার ভাগিনা মিরাজকে মারধর করে। যে কারণে তাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে কাউকে পাইনি। আর আমি আজকে পরিষদের কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আহসান হাবিবসহ তার সহযোগিরা জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের গ্রুপ করে। আমি কারো গ্রুপে নাই। যে কারণে আমার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন বলেন, আহসান হাবিবের ওপর হামলার ঘটনায় মিরাজ হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!