ঈশ্বরদীর পাকশীর চররূপপুরের পদ্মার চরে ১০টি গরু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে গবাদি পশুর চারণভূমির পাশের এক কলা ক্ষেতের ঘাস খেয়ে এসব গরু বিষক্রিয়ায় মারা যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা । এ ঘটনায় আরও ২০টি গরু অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গরুগুলোকে চরে ঘাস খাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাস খাওয়ার এক পর্যায়ে গরুগুলো চরের একটি কলা বাগানের ঘাস গাছ খেয়ে ফেলে। এরপর চরের মাঠ থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঠেই মরে যায় ৫টি গরু। পরবর্তীতে নদীর কিনারায় এসে মারা যায় আরো ৩টি গরু এবং বাড়িতে এসে মারা যায় আরও কয়েকটি গরু। এরমধ্যে কয়েকটি গরু জবেহ করা হয়। মারা যাওয়া গরুগুলো মালিকদের মধ্যে মফেজ্জল বিশ্বাসের ৭টি গরু, জয়নাল বিশ্বাসের ১টি, বিকুল প্রামানিকের ১টি, ইকবাল প্রামানিকের ১টিসহ মোট ১০টি গরু মারা গেছে বলে অভিযোগে জানানো হয়।
ভুক্তভুগী মফেজ্জল বিশ্বাসের ভাই এজাজ বিশ্বাস জানান, লক্ষিকুন্ডার কৈকুন্ডা গ্রামের জনৈক ড্রাগ আনিস এর জমির কলা বাগানের ঘাস খেয়েই মুলত: গরু গুলো অসুস্থ হয়ে মারা যায়।তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো তিনি দানাদার বিষ ওই কলার বাগানের ঘাসে প্রয়োগ করে রেখেছিলেন।
তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বুধবার সকালে গিয়ে অসুস্থ গরু গুলোকে চিকিৎসা দিয়েছে এবং মৃত গরু গুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রক্ত, লালা এবং মাংস ল্যাব টেস্ট এর জন্য নিয়ে গেছেন। তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণে এই গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে । তবে ল্যাব টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তীতে গরুর মালিকদের জানানো হবে গরুগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, অসুস্থ গরু গুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং মৃত গরু গুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রক্ত, লালা এবং মাংস ল্যাব টেস্টের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। রবিবার তা পাঠানো হবে। বিষক্রিয়ার লক্ষণ মনে হচ্ছে। রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই চরের জমিতে আর গবাদি পশু বিচরণ করিয়ে ঘাস না খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :