বরগুনার তালতলীতে চাচার পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারাত্মক আহত অবস্থায় ভিকটিমকে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত আটটার সময় সংগঠিত হয়েছে। কি কারণে ঘটছে তার ধোয়াশা এখনো কাটেনি।
আহত ব্যক্তির নাম কবির হোসেন (৩৫)। পেশায় একজন জেলে। তার বাড়ি তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছকিনা গ্রামে। কবির ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। গত আট বছর আগে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মরা নিদ্রা গ্রামে তার বিবাহ হয়েছিল।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, একই গ্রামের দুঃসম্পর্কিত ভাতিজি মিম আক্তার (১৭) সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করে আসতো। ঘটনার দিন রাতে মিমের বাড়িতে মিমকে একা পেয়ে গায়ে হাত দিলে কবিরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় মিম।
এবিষয়ে মিমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, কবির সম্পর্কেও চাচা হলেও এর আগে তার বড় দুই বোনকে উত্ত্যক্ত করতো। আজ তার বাবা ও মা পাশেই শুটকি শুকানোর কাজে গেলে সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে চাচা কবির। এসময় মিম রান্না ঘরে শোয়া ছিল। সেখানে কবির গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গে হাত দিলে পাশে থাকা দাও দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এসময় সে দৌড়ে বাহিরে এলে স্হানীয়রা উদ্ধার করে রাত নয়টার সময় তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কি কারণে পুরুষাঙ্গ কাটা হয়েছে এবিষয়ে কবিরের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, মিমদের বাড়ীর পাশে তার শুটকির ব্যবসা আছে।শুটকি চুরি হয় বিধায় পাহারা দিচ্ছিল। এসময় দুটি ছেলে দেখে তাদের পিছু নিয়ে মিমদের বাড়ীর কাছে গেলে তারা আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে এবং আমার গোপানাঙ্গ কেটে দেয়। সর্বশেষ খবর নিতে তার ভাই আসলামের মুঠোফোনে জানা গেছে কবিরের এখনো জ্ঞান ফিরেনি। তাক নিয়ে আমরা এম্বুলেন্স যোগে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এব্যপারারে তালতলী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. কালাম খান জানান, এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ জানাননি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :