ময়মনসিংহের নান্দাইলে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখায় অপরূপ দৃশ্য তৈরি করেছে কচুরিপানার ফুল।নদীতে দলবেঁধে ফুটেছে কচুরিপানা ফুল। ফুলের নির্মল ও স্নিগ্ধকর সৌন্দর্য প্রকৃতিতে যোগ করেছে নান্দনিকতা। তাই প্রকৃতি মেতেছে এখন নতুন রূপে।
সাদা, হালকা গোলাপি আর বেগুনি রঙের কচুরি পানার ফুল দেখলে মনে হবে শিল্পীর তুলিতে নিখুঁতভাবে আঁকা কোনো ছবি। যা দৃষ্টি কাড়ছে মানুষের। ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা। যাতে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতি প্রেমিরা।
উপজেলার মধুপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের লোহিতপুর ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখায় অপরূপ এই দৃশ্য তৈরি করেছে কচুরিপানার ফুল। কচুরিপানার ফুল এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর ও চিত্তাকর্ষক হয়ে ফুটেছে যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না।
কচুরি পানার ফোটা ফুলগুলো কোনো সুবাস না ছড়ালেও এসব ফুলের রয়েছে নান্দনিক রূপ। ফুলের শোভা ও সৌন্দর্য ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন নারী- পুরুষ, ছোট বড় সবাই।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ছোট বড় খাল-বিল, বাড়ির পাশে পুকুর, ডোবা-নালায়ও এখন ফুটেছে সৌন্দর্যবর্ধক দৃষ্টিনন্দন কচুরি পানার ফুল। ডোবা ও জলাশয়ে ফুল ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাটশিরা ও দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদে কচুরি পানার ফুলের চাদরে ঢেকে আছে নদী। হাজার হাজার ফুল ফুটে রয়েছে। যেখানেই দৃষ্টি যাচ্ছে শুধু ফুল আর ফুল। কেউ কেউ খুব যত্ন করে নিজের মুঠোফোনে তুলে নিচ্ছেন এসব ফুলের দৃশ্য।
কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। কৃষকেরা কচুরিপানা উঠিয়ে জমিতে ফলানো আলু, পটলসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন। কচুরিপানা থেকে এখন তৈরি হচ্ছে জৈব সার। ফলে কৃষক ফসল উৎপাদনে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কচুরিপানা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্থানীয় শিক্ষক এনামুল কবির বলেন, বাড়ির পাশের নদে প্রচুর কচুরিপানা ফুল ফুটছে। দেখতে অনেক সুন্দর। প্রতিদিন অনেক মানুষ ফুল দেখতে আসে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাতুল ও কনক জানায় তারা প্রতিদিন কচুরিপানার ফুল দেখতে আসে।ফুল হাতে নিয়ে ছবি তুলছে তারা।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, কচুরিপানা ফুল দেখতে খুব সুন্দর। এ ফুল জলাশয়ে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণই মুগ্ধতা ছড়ায়।