শীতের শুরুতে আগাম জাতের সবজি উঠাই দাম বেশি পাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা । উঁচু জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে এখন ব্যস্ততা বেড়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের শুরুতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবে জীবননগর উপজেলার কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেকোনো ফসল আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে। তাই দামও অনেক বেশি হয়। সে কারণে উঁচু জমিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন তারা। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, সিমের জুড়ি নেই।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আগাম ফুলকপি চাষ করছেন জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর নুর ইসলাম জানান, প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনে সবজি চাষ করে আসছি। এ বছর ১
বিঘা জমিতে ফুল কপি আবাদ করেছি। প্রতিদিন জমিতে সকালে ও বিকেলে কাজ করি। পানি দেয়া, ফসল পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কাজ করতে হয় । পরিচর্যা থেকে শুরু করে কপি উঠা পর্যন্ত এ
বাবদ জমিতে আমার প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজার যে ভাবে আছে যদি কোন সমস্যা না হয় তা হলে আশা করি এ বছর ভালো দাম পাবো।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের বাধাকপি চাষী মো. আতিয়ার রহমান বলেন, এ বছর কপির দাম বেশ ভালো কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কপি যখন আড়তে নিয়ে বিক্রি করা হয় তখন ঢলন দিতে হয় বেশি। ঢলন যদি না দিতে হতে তা হলে আরো ভালো হত ।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, কৃষকদের আগাম জাতের সবজি আবাদ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের সবজি বিক্রি করে বেশি দাম পেয়ে থাকেন কৃষকরা। এ বছর জীবননগর উপজেলায় ১হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি বাধাকপি, ফুলকপি, সিমসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ফসলের মধ্যে বেশ কিছু স্থানের ফসল বাজারে কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :