বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:১০ পিএম

banner

ফুলবাড়ীতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ছট পূজা অনুষ্ঠিত

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:১০ পিএম

ফুলবাড়ীতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ছট পূজা অনুষ্ঠিত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সূর্য্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়েছে দুইদিন ব্যাপী সনাতন (হিন্দু) ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সূর্য্য পূজা (ছট পূজা)। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীর পূর্ব তীরে দুইদিন ব্যাপী সূর্য্য পূজা (ছট পূজা) শুরু হয়। যা গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সূর্য্য ওঠার পরপরই সকালে শেষ হয়েছে।

স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলের জন্য সূর্য্য দেবতার কৃপালাভের আশায় সনাতন (হিন্দু) সম্প্রদায়ের নারীরা নিজ নিজ বাড়ী থেকে ডালায় কূলা ভর্তি বিভিন্ন ফলমূল, নিজের তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি, মিষ্টান্ন, আটার তৈরি লুচি, পুড়ি, ঠেকুয়া ও খাজতাসহ বিভিন্ন প্রসাদ সাজিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ছোট যমুনা নদীর পূর্ব তীরে সূর্য্য দেবতার কৃপা লাভের আশায় সূর্য্যরে দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করেন উপোস থাকা (রোজা) নারীরা।

সূর্য্যাস্তের পর নারীরা কূলার প্রসাদ ডালায় উঠিয়ে নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ বাড়ীতে। পরদিন গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত দুইটার পর থেকে আবারো ফিরে আসেন নদীর তীরে। কূলার প্রসাদ সাজিয়ে প্রতিক্ষায় থাকেন সূর্য্য ওঠার জন্য।

এদিকে সূর্য্য পূজাকে (ছট পূজা) কেন্দ্র করে ছোট যমুনার তীরে দুইদিন ব্যাপী বসেছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব বয়সী নারী ও পুরুষের মিলনমেলা। ঢাক আর ঢাকির ঢোলের তালে মুখরিত ছিল নদীর তীরের পূজাস্থল। আলোক ঝলমল আলোকসজ্জাসহ কিশোর-কিশোরীদের নানা রকম আতশবাজী আর ছুড়ছুড়িতে আলোকিত ছিল পুরো পূজা এলাকা।

অপরদিকে সূর্য্য ওঠার পর থেকেই নদীর তীরে অবস্থানরত নারীরা সূর্য্য দেবতার কৃপালাভের জন্য নদীতে স্নান শেষে কূলায় ভর্তি প্রসাদ নিয়ে অর্ঘ্য দেন সূর্য্য দেবতার উদ্দেশ্যে। প্রসাদ অর্ঘ্য শেষে বিবাহিতা নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্যামা কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রী জয় প্রকাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী জয়রাম প্রসাদ বলেন, সূর্য্যপোসনার উৎসব ছট পূজা ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খন্ড প্রদেশসহ নেপালের অবাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুগযুগ ধরে বাংলাদেশের সবস্থানেই স্থানীয়ভাবে এই সূর্য্যপূজা যাকে বলা হয় ছট পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ পূজোতে সবাই একত্রিত হয়ে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। খুবই আনন্দের মধ্যে কাটে এই উৎসবটি।

ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের প্রধান পূরহিত শ্রী সুদামা উপাধ্যয় বলেন, সূর্য্য পূজা (ছট পূজা) মূলত অবাঙালি সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী নারীরা তাদের স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলার্থে সূর্য্য দেবের কৃপা লাভের আশায় নদীর তীরে সূর্য্য পূজা (ছট পূজা) যুগ যুগ ধরে পরমপরাভাবে করে থাকেন। এই সূর্য্য পূজা (ছট পূজা) ভগবান শ্রী রামের স্ত্রী সীতা মাইয়া এবং পার্বতী
দেবীও পালন করেছিলেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!