বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় কিশোর সহিদ (১৬) খুনের ঘটনায় জড়িত চারজনকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পায়ে হাঁটার রাস্তাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তারা আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তার চারজনকে সোনাতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি ও র্যাব সদর দপ্তরের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চন কান্দাপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১২ বগুড়া ও র্যাব-১ গাজীপুরের সদস্যরা যৌথ অভিযানে একটি বাড়ি থেকে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন-বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া দক্ষিণপাড়ার আব্দুস ছমাদের ছেলে মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম (৪৫), তার ভাই শরিফুল ইসলাম (২৮), সোনাতলা উপজেলার মুরাব পটল এলাকার আতোয়ার হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩৫) এবং গাবতলী উপজেলার তেলিহাটি এলাকার মৃত হানিফের ছেলে নুরন্নবী শাহ ওরফে চেংটু (৩৫)।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, গত ৬ আগস্ট সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া এলাকায় পায়ে হাঁটার রাস্তাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে ভিকটিম সহিদ (১৬) ও তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে আসামিরা। ধারালো হাসুয়া দিয়ে সহিদের মাথায় আঘাত করা হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন পর ১২ আগস্ট সহিদ মারা যায়। এ ঘটনায় সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে মাঠে নামে র্যাব।
আপনার মতামত লিখুন :