ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
স্যার না ডাকায় হয়রানি

গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম

গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার কে ভাই বলায় গ্রাহকের সাথে অসদাচরণ করে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাকারী সেই সেকেন্ড ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রূপালী বাংলাদেশ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে "ভাই বলায় ক্ষেপে গেলেন গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারকে ভাই বলায় গ্রাহককে হয়রানি ! " শিরোনামে সংবাদ এবং ভিডিও প্রকাশ হলে মূহুর্তেই সেটি ভাইরাল হয়। পরে দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক সহ বেশ কিছু মিডিয়াতে সেটি ঢালাওভাবে প্রকাশিত হয়। এরপর‍‍`ই নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। এছাড়া ঐ কর্মকর্তার আচরণের ভিডিও টিও এখন এলাকায় টপ অব দি সিটিতে পরিনত হয়েছে। এতে নেটিজেনরা ঐ কর্মকর্তাকে বদলি সহ চাকুরিচ্যুত করার পাশাপাশি বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ঐ শাখার ম্যানেজার সূত্রে জানা যায়, সেকেন্ড ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নিউজ হওয়ার পরে তাকে নিয়ে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের দুইজন উর্ধতন কর্মকর্তা সহ ঝিটকা হরিরামপুর শাখার ম্যানেজার ওই গ্রাহকের দোকানে যান। তারা সেটি তদন্ত করেন। এরপর সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা কর্মকর্তারা সেই ভুক্তভোগীর বাবা সমীর সন্ন্যাসী ও ভুক্তভোগী সুব্রত সন্ন্যাসীর সাথে বসে একটা সমাধান করে দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুব্রত সন্ন্যাসী বলেন, আমার সাথে হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি আপনাদের সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরে। ব্যাংকের বিভাগীয় প্রধান সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আমার দোকানে আসেন। এসে আমার বাবার হাত ধরে ও পরে আমাকে সরি বলে ক্ষমা চেয়ে এখানেই বিষয়টি শেষ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে যায়। আমি তখন তাদেরকে ক্ষমা করে দেই। তবে আমার দাবি তারা যেনো আর কোনো গ্রাহকের সাথে এমন আচরণ না করে। আমি একজন গ্র‍্যাজুয়েট ছেলে হয়ে, প্রতিবাদ করার কারণে আজ হয়তো তারা আমার কাছে মাফ চেয়ে গেলো। কিন্তু বিষয়টি যদি তারা না শোধরায় তাহলে, অন্যান্য গ্রাহকদের সাথেও তো এমন আচরণ চালিয়ে যাবে তারা। তাই আমি পুরোপুরি ভাবে এই ঘটনার সমাধান চাই।

সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক ও আমার মাঝে একটা ভুলবোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিলো। সেটা হেড অফিস থেকে স্যাররা এসে সমাধান করে দিয়েছে। এখন আমাদের মাঝে আর কোন ভুলবোঝাবুঝি নেই।

এ ব্যাপারে ঝিটকা হরিরামপুর শাখার গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার অদ্বৈত কুমার মৃধা ‍‍`রূপালী বাংলাদেশ‍‍` কে বলেন, ঘটনা ঘটার পরই গত শুক্রবার হেড অফিস থেকে দুজন কর্মকর্তা আসছিলেন। তারা এসে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে গেছেন। যার সাথে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সাথে বসে একটা মিমাংসা করা হয়ছে। এছাড়াও তদন্তের যারা দায়িত্বে আছেন তারা হেড অফিসে এটা সাবমিট করবেন। তদন্ত রিপোর্ট আমরা এখনো পাইনি হয়তো এই সপ্তাহের মাঝে তদন্ত রিপোর্ট পাবো।

আরবি/জেডআর

Link copied!