নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা। গত কয়েকদিন ধরে সকাল থেকে কুয়াশা আর রাতে ঠান্ডা আমেজ বলে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।অভিজাত মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা কম থাকলেও ফুটপাতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। প্রতিবছর শীতের শুরু থেকে ঘোড়াশালের এই ফুটপাতে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা বেড়ে যায়। এখানে বেচাকেনা চলে সপ্তাহে দুদিন, শুক্র ও সোমবার বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ক্রেতারা যেমন আসছেন তেমনি স্বল্প আয়ের মানুষেরাও অল্পদামে শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভিড় করছেন। তবে এখানে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে মহিলা ক্রেতাই বেশি দেখা গেছে। এই ফুটপাতে শীতের চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বল, মোটা কাপড়ের গেঞ্জি, হুডি, মাফলার, কমফোর্টার, হাতমোজা, কানটুপিসহ সব ধরনের শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা।
বাগপাড়া থেকে আসা গৃহবধূ আসমা সিদ্দিকা বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এই ফুটপাতের বাজার খুবই দরকারি ছিল। ফুটপাতের এই বাজারের অধিকাংশ দোকানেই নরসিংদীর বাবুরহাটের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তাই কম দামে নিত্যনতুন জামাকাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
আফরোজা বেগম নামে আরও এক ক্রেতা বলেন, কমদামে ছেলে মেয়েদের শীতবস্ত্র কেনার জন্যই এই ফুটপাতের দোকান গুলোতে এসেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার একটু শীতবস্ত্রের দামটা বেশি মনে হচ্ছে।
দোকানের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের শাল ও চাদরের দাম পরে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, সোয়েটার ২৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, কাপড়ের জুতা ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা,জ্যাকেট ৫০০ থেকে ৮৫০ টাকা, গরম কাপড়ের তৈরি প্যান্ট ২০০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, পায়জামা ১২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, টুপিওয়ালা গেঞ্জি ১৩০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, টুপি ১০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, মাফলার পাওয়া যায় ১০০ টাকা থেকে ২২০ টাকার মধ্যে, কম্বল ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, বিদেশী কম্বল ২০০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা।
ঘোড়াশাল বাজারের ব্যাবসায়ী মহিউদ্দিন চিশতী বলেন, মার্কেটে যে কাপড় এক হাজার টাকায় পাওয়া যায়,এখান থেকে সে কাপর ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মধ্যবিত্তের মানুষের জন্য এ বাজার খুবই ভাল। হাতের নাগালেই সব কিছু সস্তা দামে পাওয়া যায়।
ঘোড়াশাল বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘শুক্র ও সোমবার এই দুই দিন এ বাজারের হাটের বার থাকায় এখানে প্রায় ৪০০ ভাসমান দোকান ফুটপাতে বসে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা বাজার কমিটির লোকজন ওই দুদিন তাঁদের বেচাকেনা মনিটরিং করে থাকি। কারণ এ হাটে নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :