বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সোনালী ধানের শীষের আভা ছড়িয়ে পরছে মাঠে মাঠে। সোনালী ধানের আভা দেখে উচ্ছ্বাসে ভড়ে ওঠছে কৃষকের মন-প্রাণ । তাদের মনে স্বপ্ন জেগেছে নতুন চালের ভাতের পাশাপাশি পরিবার, পরিজন, নাতি-নাতনিকে নিয়ে পিঠে খাওয়ার উৎসবে মেতে উঠবেন। এবার উপজেলায় চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৬শ` হেক্টর জমির আমন ধান জমিতে চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫শ` হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখেও হাঁসি ফুটেছে। এ উপজেলার আমন ধান চাষে বৃষ্টিপাত ও বাঙালি নদীর বন্যার ওপর নির্ভরশীল। বিগত বছরগুলোতে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বেশকিছু আমন ধানে চিটা দেখা যেত যা এ বছর কোথাও লক্ষ্য করা যায়নি। তাছাড়া ধানগাছে ফুল ফোটার সময় মতো বৃষ্টিপাত, রোগ বালাই আর পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে আমন ধান রোপণের সময় এ উপজেলায় কৃষকরা প্রচন্ড খরা এবং অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছিল। তাই কৃষকরা শ্যালোমেশিনের মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ধানের একটি অংশ ছেড়ে দেওয়ার শর্তে এ ধানের আবাদ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫`শ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছিল ১২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৯ টন চাল। এবছর আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ১২ হাজার ৬শ` হেক্টর চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ দশমিক ১ টন চাল উৎপাদন হচ্ছে, যা গত বছরগুলোর তুলনায় বেস বেশি।
উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলি গ্রামের এনামুল হক বলেন, আমাদের এবারের আমন ধান বিঘা প্রতি আনুমানিক ১৬ থেকে ১৮ মন ধান পাবো । কারণ এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে, বাতাসো তেমন হয়নি। যার কারণে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারবো বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা এ মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া বাজারেও তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। তাই আমন চাষে গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কৃষকরা বেশি লাভবান হবে।
আপনার মতামত লিখুন :