ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত সংঘাত

টেকনাফের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন করে আতংক ছড়িয়েছে

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,  কক্সবাজার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ১২:২২ পিএম

টেকনাফের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন করে আতংক ছড়িয়েছে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

 

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত সংঘাত ও যুদ্ধ পরিস্থিতি তীব্র হয়ে উঠছে। বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামারিক জান্তার মাঝে দফায় দফায় চলছে সংঘর্ষ। মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত ভেসে আসছে বোমা বিস্ফোরণ, মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ। নতুন করে আতংক ছড়িয়েছে টেকনাফের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতির বিরুপ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির সমাধান শুধুমাত্র মিয়ানমারই করতে পারে; এমটাই মনে করছেন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ।

দেশের সর্বদক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীরদ্বীপ। নাফ নদীকে ঘিরে দ্বীপের ওপারে মিয়ানমারের মংডু টাউনশীপের বেশ কিছু সীমান্ত চৌকি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দেশটিতে সরকারী বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মাঝে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা পড়েছেন বিপাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেরা জানান, 
মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারনে টেকনাফে মিয়ামারের সাথে বাংলাদেশের ৩০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে এখন ভীতিকর পরিস্থিতি। 
প্রতিনিয়ত গোলাগুলির শব্দ, নাফ নদী থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া ও এপাড়ে গুলি এসে পড়াসহ নানা কারণে উদ্বিগ্ন বলে জানান শাহ্পরীরদ্বীপের জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দা।

এরই মাঝে ৫ই নভেম্বর নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া মোহনায় মাছ ধরার সময় ১৭টি ডিঙি নৌকাসহ ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ৭ নভেম্বর তাদেরকে ফেরত আনে বিজিবি।  

শাহ্পরীরদ্বীপের ট্রলার মালিকরা জানান, সাগরে ট্রলিং জাহাজের কারণে তারা মাছ পাচ্ছে না। ওপার থেকে গুলি এসে গায়ে লেগে আহত হওয়ার ভয় থাকে। নাফ নদী থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয়েও অনেকে জেলে মাছ ধরতে যেতে ভয়পাচ্ছে। এভাবে চললে ট্রলার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটার একটা রাষ্ট্রী সমাধান দাবী করেন ফিশিং বোট মালিকরা।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, টেকনাফ সহ সীমান্ত এলাকার মানুষ যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ- মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বা আরকান আর্মির সাথে বৈঠক করে এই সংকট নিরসন সম্ভব।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় আতংকিত হওয়ায় খবরে পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!