শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাগেরহাটে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আপন বড় ভাই ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলাসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পত্তি ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাট ফকিরহাট উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু (৩৯) ফকিরহাট মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু ঘনসাপুর গ্রামের মৃত সাখাওয়াত আলী ফকিরের ছেলে।

ভুক্তভোগী তার অভিযোগে জানান, আমার আপন বড় ভাই মইনুল ইসলাম(৪২) ফকির ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেয়াইনিভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাড়ে তিন মাস জেল খাটিয়েছে। মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় সেই মামলায় আমরা খালাস পাই। আমার ভাই মইদুল ইসলাম ফকির ও ভগ্নিপতি হারুন শেখ পরসম্পদ লোভী হওয়ায় তারা বেআইনিভাবে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমি ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে।

আমাকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে ভাই ও ভগ্নিপতি বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে তার মধ্যে থাকা স্ত্রীর ১২ ভরি স্বর্ণ ও ওয়ারিশ সূত্রে ৮ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ২১ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে। আমার পিতার মৃত্যুর সময় তার রেখে যাওয়া বসত ঘরে আমিও আমার পরিবারকে বঞ্চিত করে এবং আমাদের পৈত্রিক বাড়িতে ঢুকতে দেয় না। ভগ্নিপতি হারুন শেখ আমার গোয়াল ঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় শ্রীপুর নাইট গার্ডের লোকজন উদ্ধার করে। তাদের বিরুদ্ধে
অর্থ ও সম্পদ আত্মসাৎ একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান করতে পারি নাই। তৎকালীন স্থানীয় শুভদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল শেখ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ফেরত দিতে বললেও কোন কর্ণপাত করেন নাই মাইনুল ইসলাম ফকির। বরং স্বর্নলংকার ও অর্থ ফেরত চাইলেই মাইনুল ও তার লোকজন সে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে হুমকি ধামকী ও মারধর করতে আসে। তিনি সকল স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ঘটনায় মাইনুল ইসলাম ফকিরের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী মিজানুর রহমান মন্টু জানান, মনিরুল ইসলাম ফকির ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় সে তার আপন ভাইকে মিথ্যা মামলা জড়িয়েছিল। নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি থেকে স্বর্ণ, নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে গাছ বিক্রি করে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য থানা ও ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসলেও কোন সমাধান করতে পারেনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেমায়েত গাজী জানান, পিতার সম্পত্তি দখল ও আত্মসাৎ এর জন্য জাহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে তার আপন বড় ভাই। সে জেলে থাকাকালীন বাড়িতে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে। বিষয়টি একাধিকবার সমাধানের জন্য বসলেও মনিরুল ইসলাম ফকির প্রভাবশালী হওয়ায় কোন সুরাহ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!