জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস রিক্সা চালক দীলিপ হত্যা মামলার ৬ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার এবং একই সময়ে ছিনতাই হওয়া রিক্সাটি উদ্ধার করেছে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন এর নেতৃত্বে থানার চৌকশ টিম ঘটনায় জরিত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত রিক্সা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন অজ্ঞাতনামা দুইজন ব্যক্তি সন্দেহজনক ভাবে একটি রিক্সা নিয়ে জেলার পাঁচবিবি হয়ে চানপাড়ার দিকে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক ভাবে আভিযানিক টিম বিষয়টি যাচাই করার জন্য উক্ত এলাকার দিকে রওনা হয় এবং পাঁচবিবি থেকে ঘোড়াঘাটগামী রাস্তায় রিক্সাসহ সন্দেহজনক অবস্থায় ইমান আলী (২২) ও এনামুল হোসেন (২১)কে আটক করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ইমান আলী জয়পুরহাট শহরের বিহারি পাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে এবং এনামুল হোসেন মাগনিপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। আসামিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী রিক্সার মালিক ও ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার হওয়া রিক্সা ও মোবাইল ফোন ভিকটিমের মর্মে শনাক্ত করেন।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়ে রিক্সাটি ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় মর্মে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে।
গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিট জয়পুরহাট পৌর সদরের খঞ্জনপুর থেকে পাঁচবিবিগামী বাইপাস সড়কের হাতিল মাগনিপাড়া এলাকার একটি আখক্ষেত সংলগ্ন রিক্সা চালক দীলিপ চন্দ্র বর্মনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদের উদ্ধার ও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শাহেদ আল মামুন এর সময়োপযোগী কর্মতৎপরতার জন্য ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারের ০৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জরিত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :