বগুড়ার ডক্টরস ক্লিনিকের ইউনিট-১ ভাঙচুর ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। চিকিৎসকের অবহেলায় জাহানারা বেগম নামের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভের সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের শেরপুর রোডের মফিজ পাগলা মোড়ে ডক্টরস ক্লিনিকে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রোগীর স্বজন, স্থানীয় জনতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরাও সেখানে ছিলেন। এসময় ক্লিনিকের কর্তব্যরত স্টাফদের ধাক্কাধাক্কি করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।
শুক্রবার বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএস মঈনুদ্দীন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ভাটকান্দি এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগমকে অসুস্থ অবস্থায় ডক্টরস ক্লিনিকের জরুরি বিভাগে আনা হয়। কর্মরত চিকিৎসক রোগীকে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বসতে বলেন। ডা. মামুনুর রশিদ তাকে দেখবেন বলে জানানো হয়। দুই ঘণ্টা পার হলেও ডাক্তার আসেননি। চিকিৎসার আগেই জাহানারা বেগম মারা যান। এরপরই চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মারা গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জেনে আশপাশের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ক্লিনিক ঘেরাও করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে রোগী মৃত্যুর জন্য ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও মালিককে দায়ী করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
রোগীর স্বজন রাসেল মিয়া বলেন, আমার বড় আম্মা হঠাৎ অসুস্থ হলে চিকিৎসক দেখানোর জন্য ক্লিনিকে যান। রোগীর ডায়াবেটিস ও প্রেসার মেপে সেখানে বসিয়ে রাখে। দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা জানায় রোগী মারা গেছেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই জাহানারা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ডক্টরস ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ জানান, রোগীর বিষয়ে তার জানা নেই। তিনি ক্লিনিকে ছিলেন না। রোগী নিয়ে আসার পর ডিউটিরত ডাক্তার দেখেছেন। শুনেছি কিছুক্ষণ পরই রোগী মারা গেছে।
ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মকবুলার রহমান বলেন, ওই রোগীর ডায়াবেটিস থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডা. মামুনের জন্য অপেক্ষায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পরই রোগী মারা যান। চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :