পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে জালাল উদ্দিন (৩৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শকর আলীর ছেলে ও বিএনপি কমী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের মানসিক হাসপাতাল
সংলগ্ন বেতেপাড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাাতলে নেওয়ার পথে দুুপুরে ওই যুবক মারা যান। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম গ্রুপের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে ওই এলাকার ইসলামী জালছা নিয়ে তাদের মধ্যে। বাকবিতন্ডা হয় সেই সূত্রে ধরে সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আবুল হাসেমের কর্মী জালাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুন্তাজ গ্রুপ ও হাসেম গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী নেয়ার পথে জালালের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :