বরিশালে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেংঙ্গুটিয়া গ্রামের একটি হতদরিদ্র পরিবার দিনমজুর রিপন হালদারের মা যিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক হতদরিদ্র। সারা জীবন অন্যের ঘর নির্মাণের জন্য ইট ভেঙ্গেছেন। নিজে একটি জড়াজীর্ণ ঘরে মানবতার জীবনযাপন করছেন যুগের পর যুগ।
বিষয়টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "একঝাঁক মানবিক মানুষ" এর দৃষ্টিগোচর হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শেয়ার করে নাগরিক সহায়তায় ঘরটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এবং আশার কথা হচ্ছে বিষয়টি আগৈলঝাড়া উপজেলার স্বনামধন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে আসে। তিনি গৃহহীন হতদরিদ্র পরিবারটির জন্য সরকারি বরাদ্দ থেকে ৩ বান তিন এবং নগদ ২৯ হাজার টাকা প্রদান করেন।
দুঃখ হলেও সত্য রিপন হাওলাদারের পৈত্রিক সম্পত্তির পরিমাণ খুবই নগণ্য। বর্তমানে যে জায়গাটিতে তিনি বসবাস করছেন তাও অন্যের জায়গা। ঘর নির্মাণের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি তাদের কাকা সহ সম্পত্তির অন্যান্য ওয়ারিশগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আলোচনা সাপেক্ষে রিপনের হাওলাদারের কাকা জব্বার হাওলাদার একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ঘর করার আমন্ত্রণ জানান। গত মঙ্গলবার দোয়া এবং মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় সেই সম্পত্তির একজন ওয়ারিশ অন্যান্য ওয়ারিস ও সামাজিক সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ বন্ধ করার জন্য কোর্টের শরণাপন্ন হয়ে উল্লেখিত জায়গাতে ঘর নির্মাণের নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং পাঁচ জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে। আজ সকালে আগৈলঝাড়া থানার একজন কর্মকর্তা এসে কাজ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যান।
আরো দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে অভিযুক্ত পাঁচজন ব্যক্তির একজন হচ্ছে সুবিধাভোগী রিপন হাওলাদার বাকি ৪ জন নিত্যন্ত মানবিক সহায়তা জন্য এই ঘর নির্মাণ কাজের জন্য এগিয়ে এসেছেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
হতদরিদ্র এই পরিবারটির ৬ জন সদস্যের একটু মাথা গোঁজা ঠাঁই করে দেবার জন্য এবং অনাকাঙ্খিত বিবাদ নিরসনের জন্য আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি ।
আপনার মতামত লিখুন :