কাঁধে বাউক ঝুলিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বাঁশের পণ্য বিক্রি করেন সুভাস (৪৫)। আর বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করেই অভাবের সংসার চলে সুভাসের। জীবিকার প্রয়োজনে তিনি এ পেশায় প্রায় ৭ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরি করে বাঁশের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন। বাঁশের পণ্য বিক্রির আয় দিয়েই চলে তার সংসার।
প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার বাঁশের পণ্য বিক্রি হয় তার। খরচ বাদে প্রতিদিন তার লাভ হয় ৪শ থেকে ৫শ টাকা। যা দিয়ে চলে তার ৪ জনের সংসার।জীবনের প্রয়োজনে এমন সংগ্রাম তার চলছেই।
সুভাষের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিমরাইল গ্রামে। স্ত্রী ও ২ মেয়ে নিয়ে ৪ জনের সংসার তার। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের নাগপুর গ্রামে বাঁশের পণ্য ফেরি করার সময় কথা হয় সুভাসের সঙ্গে।
তিনি জানান, বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে খাদি,খাঁচা, ঝাঁপি,কুলা,চালুন,ডালা,ঝাড়ু,মাটি ঝারার চালন, মাছ ধরার পলইসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য তৈরি করে বিক্রি করেন সুভাস। নিবেন গো কুলা, চালুন, ডালা, ঝাড়ু, গলা ছেড়ে এমন ডাক দিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বাঁশের পণ্যের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন সুভাস।
সুভাস জানান, নিজের গ্রাম ও স্থানীয় বাজার থেকে তিনি বাঁশ সংগ্রহ করেন। তারপর তিনি ও তার স্ত্রী বাঁশের তৈরি সামগ্রী তৈরি করেন। তৈরি করা বাঁশের পণ্য সুভাস গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করেন।
সুভাস বলেন, সকল খরচ বাদে ৪শ থেকে ৫শ টাকা আয় থাকে আমার।আর গ্রামে গ্রামে ফেরি করে লাভের এই সামান্য আয় দিয়েই চলে আমার অভাবের সংসার।তিন বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা পেলে আমার কাজ আরো বাড়াইতে পারতাম।
আপনার মতামত লিখুন :