কক্সবাজার জেলায় পুরোদমে মাঠে নেমেছে চাষীরা। সে সাথে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৬৯ হাজার একর জমিতে চাষ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরও ছাড়িয়ে যাবে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
জানা গেছে, দেশে এ বছর লবণের সার্বিক চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার টন। এ চাহিদার যোগান দিতে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত সূর্যের তাপে সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ করা হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, ৪ নভেম্বর কুতুবদিয়ায় এ মৌসুমের প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়। ইতোমধ্যে এ উপজেলার ৭০ শতাংশ জমি এখন লবণ চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়া পেকুয়ায় ৫০, টেকনাফে ১০ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৪০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। বাকি উপজেলার চাষিরাও মাঠে নামতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫৫ টন লবণ সংগৃহীত হয়েছে।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া জানান, গত মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছিল ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে।
দেশে ৪ লাখ ১ হাজার ৭৮৫ টন লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছরও লবণ চাষের জমির আওতা বাড়বে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও ছাড়িয়ে যাবে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
আপনার মতামত লিখুন :