সাংবাদিক পুত্রকে হত্যার হুমকির গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে

মাদারীপুরে সাংবাদিক পুত্রকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। কারণ জানতে চাইলে ব্যাপক মারধরও করা হয়। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এসএম কামাল হোসেন একই গ্রামের মৃত কেরামত সরদারের ছেলে ও মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে আছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে এক আত্মীয়কে আনতে তাঁতিবাড়ি বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় মাদারীপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা আলোকিত সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম রাসেল-এর পুত্র ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সম্রাট। কিছুটা দূর এগিয়ে গেলে সাংবাদিকের সাথে প্রতিবেশি গ্রামপুলিশ এসএম কামাল হোসেনের সাথে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে হামলা চালানো হয় স¤্রাটের উপর। এ সময় ব্যাপক মারধরও করা হয়। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় কামাল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী সম্রাটরে পরিবার।

আহত সম্রাট জানায়, ৮-১০ জন একত্রে আমার উপর হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করে। আমি ডাকচিৎকার করলে পালিয়ে যায় তারা। আমি এখন আমার মামাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ভয়ে আছি। বিদ্যালয়ে যাওয়া এখন হুমকির মুখে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

সাংবাকিদের শ্বশুর মো. আব্দুল আলী খান বলেন, আমার জামাই একটি মামলায় বাড়িছাড়া। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ আমার নাতীর উপর এমন আক্রমন করেছে। মূলত গ্রামপুলিশের চাকুরীর গরমে কামাল এমন কর্মকান্ডে করে আসছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলত বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অস্বীকার করে কামাল হোসেন বলেন, আমি বা আমার লোকজন কেউই সম্রাটকে মারপিট করেনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তবে, শনিবার বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ ব্যাপারে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।