ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মপুরাণ-মনসা গানের উৎসব

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৭:০০ পিএম

হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মপুরাণ-মনসা গানের উৎসব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পদ্মপুরাণ/মনসা গানের আসরগুলো দিনদিন কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় পদ্মপুরাণ/মনসা গানের ব্যাপক দর্শক প্রিয়তা ছিল দেশের উত্তরের জেলা নাটোরে। গানের সঙ্গে সঙ্গে অসাধরণ নৃত্য ও সংলাপে এসেছে গদ্যছন্দে। মা মনসা ও নাগের জন্ম, দেবতার তুষ্টি, স্বামীভক্তি আর ভালোবাসার কাহিনীই হলো আবহমান বাংলার ভাসান গানের উপজীব্য।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ভট্টপাড়া গ্রামের শ্রী বিমান ঘোষ প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নিজ বাড়িতে চারদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিল্পীরা মোট ১১ থেকে ১২ জন শিল্পী পদ্মপুরাণ গান ও গীতিনাট্য পরিবেশন করেছেন। এতে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে নারী সেজে পুরুষদের অভিনয়ে দুর-দুরান্তর থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার শতশত শ্রোতাদর্শক এই গান শুনে মুগ্ধ হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের বেহুলা-লখীন্দর ও শিব-পার্বতী কিশোরী মেয়েদের বর-কনে সাজিয়ে বিয়ের অসাধারণ মুহূর্তটা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলেন।

গানের শিল্পী জেকের আলী,শিমুল বলেন, পদ্মপুরাণ মূলত বেহুলা আর লখীন্দরের গীতনাট্য। তবে আগের মত এই গান আর হয়না। কোন ব্যাক্তি বা পরিবার মনের আশা পূরনের জন্য করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সনজিৎ, জয়দেব, নিপেন চন্দ্রসহ অনেকে জানান,আমরা সেই উঠতি বয়সে এ গান শুনেছিলাম। আগে গ্রামে এ গানগুলো বেশ হতো। এখন আর হয় না। অনেক বহু বছর পর এখানে দেখে ভালই লাগলো। তারা আরও জানান, পদ্মপুরাণ মূলত বেহুলা আর লখীন্দরের গীতনাট্য। সাধারণত মাঠের ফসল ওঠার পর রাত জেগে এটি পরিবেশন করা হয়। এলাকাভেদে এই গানের নাম আলাদা আলাদা। আবার বিভিন্ন অঞ্চলে এ গানের নাম পদ্মপুরাণ গান, পদ্মার নাচন, বেহুলার নাচাড়ি, কান্দনী বিষহরির গান নামে পরিচিত।

আরবি/জেডআর

Link copied!