ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি

হাসানুজ্জামান হাসান, কালীগঞ্জ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম

তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী আশপাশের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে জেলার কালীগঞ্জ  উপজেলার ভোটমারি ইউনিয়নের নোহালি চর এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া হুমকির মধ্যে রয়েছে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প।নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে নোহালী গ্রামের বিশাল এলাকা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কিছুদিন ধরে তিস্তা নদীতে বালু মহাল হিসেবে ইজারা না দিলেও তিস্তা  নদীর তীরবর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি ইউনিয়নের নোহালী চর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ফসলি জমির বালি ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। এতে নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘরের ভিটেমাটি। নদী থেকে কয়েকশ গজ দুরে থাকা সরকারের নোহালী  আশ্রায়ন প্রকল্পসহ পুরো ভোটমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর নোহালি গ্রাম নদীতে বিলীন হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী বাসিন্দা ও স্থানীয় লোকজন।

নোহালী চরের বাসিন্দা আমিনুল হক বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনের কারনে আমার তিনবার বাড়ি ঘর তিস্তার পেটে চলে যায়। এবার আমি সরকারি  আশ্রায়ন প্রকল্পে একটি ঘর পেয়েছি। কিন্তু নদী থেকে যেভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে এতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সিরাজুল হক নামে এক আওয়ামী লীগের একটি চক্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকার বালি ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা নোহালি চরের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস  সরকারের কাছে তাদের আশ্রয়স্থল ও চাষাবাদের জমি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

অবৈধ বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা জানায়, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলবেন। কালীগঞ্জ উপজেলার কোন লোকজন এই অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরবি/জেডআর

Link copied!