ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে মো. নুরুল হক (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিক্রিত জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে দখল করা জমি উদ্ধারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কয়ারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল হক কয়ারিয়া মৌজার ৫০৫১নং দাগের ২০ শতাংশ জমি একই এলাকার জিয়াবুল তালুকদারের কাছ থেকে ২০০০ সালে ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর থেকে নুরুল হক ওই জমি ২০ বছর ধরে চাষাবাদ করেন।
২০২০ সালে ওই জমি নুরুল হক অর্থাভাবে একই এলাকার মো. শামীম চৌকিদারের স্ত্রী নাজমা আক্তারের কাছে বিক্রি করেন। নুরুল হকের বিক্রিত জমি গ্রহিতা শামীমকে ফসল করতে বাধা দিয়ে এবং নিজের দাবি করে জোরপূর্বকভাবে দখলে নেয় একই এলাকার আবুল কালাম ওরফে কালু তালুদারের নেতৃত্বে স্বপন তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন মজুমদার, বেল্লাল জমাদর, জিয়াবুল তালুকদারসহ ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী।
ভুক্তভোগী নুরুল হক বলেন, ‘আবুল কালাম ওরফে কালু তালুকদার মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে আমার বিক্রিত জমি অবৈধভাবে দখল করে নেয়। বিভিন্ন সময় এলাকায় ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। একসময় কালু তালুকদার আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবং আমি প্রাণের ভয়ে কোনো কথা বলতে পারিনি।’
নুরুল হক আরও বলেন, বিক্রিত জমি নাজমা আক্তার বুঝে না পেয়ে আমাকে চাপ দিতে থাকে। আমি ওই জমি দখলমুক্তের জন্য বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েও কোনো সঠিক বিচার পাইনি। আমাকে আ.লীগের আমলে কালু তালুকদার বিভিন্নভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। এ ছাড়া তিনি রুনু বেগমসহ এলাকার আরও মানুষের জমি দখল করেছে। আমি কালু তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং আমার দখলকৃত জমি ফেরত চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালাম ওরফে কালু তালুকদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কারও জমি দখল করিনি।’
এ ব্যাপারে কয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মোল্লা বলেন, নুরুল হকের বিক্রিত জমি জোরপূর্বক দখল করেছে আবুল কালাম ওরফে কালু ঘটনা সঠিক।
তিনি আরও জানান, আমরা বিভিন্ন সময় মোশারেফ মেম্বর, জামাল সরদার, রিপন জমাদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। আবুল কালাম জোরপূর্বক নুরুল হকের জমি দখল করে রাখছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মুহাম্মদ হুমায়ন কবীর বলেন, জমি দখলের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :