বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নে ষাটোর্ধ এক বিধবা নারীকে সিঁধ কেটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘরে সিঁদ কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বজনদের দাবী পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে ঘটনাস্হলে উপস্থিত পুলিশের ক্রাইম সিন।
নিহত বিধবা নারীর নাম নাসিমা বেগম (৬০)। তার স্বামীর নাম মৃত আ. হাই। নাসিমা বেগম খুলনা থেকে গত বিশ বছর আগে তার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ গ্রামে পিতা কাঞ্চন আলী হাওলাদারের বাড়িতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতে ছিল। নাসিমা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পরে সে বাড়িতে একা বসবাস করতে ছিল। তার তিন মেয়ে থাকলেও তারা খুলনায় বসবাস করে।
নিহতের আত্মীয় স্বজন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতন খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে যান নাসিমা বেগম। সকাল আটটার দিকে নিহতের চাচাত বোন মমতাজ বেগম তাকে ডাকতে গেলে নাসিমা বেগম কোন সাড়াশব্দ না দেওয়ায় দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে দেখে নাসিমা বেগম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার কোন নড়াচড়া করতে না দেখায় সে ডাকাডাকি করে স্হানীয়দের জড়ো করে। তারা নিকটস্থ চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে নিহতের ফুফাতো ভাই মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, নাসিমা বেগমের সঙ্গে তাদের দূর সম্পর্কীয় আত্মীয় আজিজ মাস্টারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারাই সিঁধ কাটার নাটক সাজিয়ে সুকৌশলে হত্যা করা হয়েছে। সে একা থাকে এবং তাঁর বাড়িতে কোন সম্পদ নেই তার ঘরে চুরি করতে যাবে চোর এটা বিশ্বাসযোগ্য না। আর চোর চুরি করতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলবে? যাদের সঙ্গে জমিজমা বিরোধ তাদেরকে আটক করলেই সকল কিছু বের হয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কাজিরাবাদ চাড়ারস্কুল নামক স্হানে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে এমন সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে ঘরের খাটের ওপর নিহত নাসিমা বেগমের মরদেহ পড়ে আছে। নাক মুখ দিয়ে রক্তের আলামত দেখতে পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা পুলিশের ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :