শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

ডিভোর্স লেটার পাওয়ার দেড় মাস পর যুবকের আত্মহত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

ডিভোর্স লেটার পাওয়ার দেড় মাস পর যুবকের আত্মহত্যা

নিহত রাশেদুল ইসলাম। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

স্ত্রীর সাথে অভিমান করে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সকালে পুরান ঢাকার বংশাল মুকিম বাজার এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাশেদুল ইসলাম মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর এলাকার আয়নাল সরদারের ছেলে পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউয়াকুরী এলাকার কুদ্দুস খানের মেয়ে মাহিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পরিবারে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে রাশেদুল। দুই পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় রাশেদুল পুরান ঢাকায় বংশালে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে থাকতেন। রাশেদুল পুরান ঢাকার একটি ইলেকট্রিক দোকানে কাজ করতেন। তাদের সংসার ভালই চলছিল। বছর কয়েক যেতেই রাশেদুল জানতে পারে তার স্ত্রী মাহিমা অন্য পুরুষের সাথে নতুন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে ফাটল ধরায়। নিহতের স্ত্রী তার মায়ের কাছে চলে যায়, গত দেড় মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠালে। এতে রাশেদুল মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে স্ত্রী মাহিমার সাথে হোয়াটসএ্যাপে ভিডিওকলে কথা হয় রাশেদুলের। এরপরই রাশেদুল ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। বুধবার সকালবেলা রাশেদুলের কোন সারা শব্দ না পেলে পুলিশকে খবর দিলে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়  রাশেদুলের লাশ উদ্ধার করে।

রাশেদুলের বড় ভাই হৃদয় বলেন, আমার ভাইকে অনেক আদর যত্ম করে বড় করেছি। তারপরেও ওই মেয়ের জন্য আমাদের সবাইকে ছেড়ে বিয়ে করে ঢাকা গিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকত, ওই মেয়ে একটা দুশ্চরিত্র। স্বামী থাকতেও অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল ওর। ওই মেয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে আমি এর বিচার চাই

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ঘটনা আমারা শুনেছি ঢাকার ঘটনা। তারপরেও আমাদের কাছে যদি কোন আইনি সহায়তা চায়, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

আরবি/জেডআর

Link copied!