ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

নেত্রকোনার ঐতিহ্য বালিশ মিষ্টির সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে

ফারুক আহমেদ, ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম

নেত্রকোনার ঐতিহ্য বালিশ মিষ্টির সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টির সুনাম রয়েছে দেশ-বিদেশে। স্বাদ ও মানে অতুলনীয় হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। রসালো এক একটি মিষ্টি ওজনে এক কেজি হয়ে থাকে। বর্তমানে এর ওজন এক কেজি ছাড়িয়েছ। তাছাড়া ছোট আকারেও রয়েছে এ মিষ্টি। নেত্রকোনা ছাড়াও বর্তমানে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া, গাঙ্গিনারপাড় ও নতুন বাজারের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানেও রয়েছে এ সুস্বাদু মিষ্টি। বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোন অনুষ্ঠানই জমে না এ মিষ্টি ছাড়া। তবে বালিশ মিষ্টি বলতে নেত্রকোনায় গয়নাথের বালিশ মিষ্টি হিসেবে পরিচিত। প্রায় শত বছর আগে সর্বপ্রথম প্রয়াত গয়নাথ ঘোষ এ মিষ্টির উদ্ভাবন করেন। আকৃতিগত দিক থেকে অনেকটা বালিশ সদৃশ হওয়ায় এর এমন নামকরণ করা হয় বলে জানান অনেক মিষ্টির কারিগররা। ১৯৮৬ সালে গয়নাথ ঘোষের মৃত্যুর পর এ প্রতিষ্ঠানটির কর্ণদ্বার হিসেবে দায়িত্ব নেন নিখিল চন্দ্র মোদক। ১৯৯৮ সালে নিখিল চন্দ্র মোদকের মৃত্যুর পর তিন পুরুষের এই প্রতিষ্ঠান এখন দেখভাল করেন তার ছেলে খোকন মোদক ও তার দুই ভাই।

গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার এর মালিক খোকন মোদক বলেন, দেশি গাভীর দুধ থেকে ছানা তৈরি করে চিনির সিরায় ভিজিয়ে আগুনে জাল দিয়ে রাতভর বিশেষ প্রক্রিয়ায় সুদক্ষ কারিগরের মাধ্যমে এই বালিশ মিষ্টি তৈরি করা হয়। জনপ্রিয়তা পাওয়ায় জেলা শহরের পাশাপাশি দেশের বড় শহরেও বালিশ মিষ্টির শো-রুম করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নেত্রকোনার প্রবীণ সংবাদকর্মী শ্যামলেন্দু পাল বলেন, বর্তমানে গয়নাথের বালিশ মিষ্টি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম রয়েছে। যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য গয়নাথের বালিশ মিষ্টি অপূর্ব সৃষ্টি।

আরবি/জেডআর

Link copied!