প্রায় চার মাস আগে দক্ষিণ কোরীয়ার রাজধানী সোলের তরুণ জে মিঙ্গির সঙ্গে একটি ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয়, সাভারের আড়াপাড়া সবুজবাগ এলাকার মো. রেজাউল করিমের মেয়ে রেজভি আক্তার সুমাইয়ার। সেই পরিচয়ই বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রেমের টানে এবার কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এক তরুণ।
সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে প্রিয়জনের কাছে ছুটে আসার গল্প দেশে যেন বেড়েই চলেছে। তবে সাভারের এই ভালবাবসার গল্পটিকে, বিয়ের পিঁড়িতে পৌঁছাতে ভিনদেশী জামাইকে মুখোমুখি হতে হয় একটি চ্যালেঞ্জের। যেখানে বিয়ের জন্য প্রেমিকার বাবার শর্তে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্ৰহণ করতে রাজি হন জে মিঙ্গি। এছাড়া ভালবাসার টানে নিজের নামও পরিবর্তন করে রাখা হয় আরফান ইসলাম।
গত শুক্রবার বিকেলে সাভারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে, এই জুটির বিবাহ পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আনন্দমুখর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেশ উচ্ছস্বিত ছিলেন অতিথীরা। বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করে, নতুন দম্পতির জন্য শুভকামনাও জানান অতিথিরা।
এদিকে, ভিন দেশি তরুণের সঙ্গে কন্যার বিয়েতে আনন্দিত বাবা-মাসসহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরাও।
রেজভি আক্তার সুমাইয়া বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। আর দক্ষিণ কোরিয়ার সউলের বাসিন্দা জে মিঙ্গি উরফে আরফান ইসলাম পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। প্রেমের সফল পরিণতি হিসেবে বিয়েতে আবদ্ধ হতে পেরে খুশি আরফান-সুমাইয়া দম্পতি। অন্যদিকে কোরয়িান এই যুবক ভালবাসার টানে শিখেছেন একটু আধটু বাংলাও। যা দিয়ে প্রকাশ করেছেন ভালোবাসার মানুষটির প্রতি আবেগ ও অনুভূতি।
ভালবাসার কাছে যে ধর্ম-বর্ণ এমনকি হাজার মাইলের দূরত্বও হার মানে, তারই আরও একটি অনন্য নজির স্থাপণ করলেন সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সাভারের এই জুটি। চিরজীবি হক তাদের এই অফুরন্ত ভালবাসা।
আপনার মতামত লিখুন :