টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রকে পায়ুপথে ধর্ষনের (বলাৎকারের) অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক সাব্বির মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মির্জাপুর থানার ২০০শ দুরে পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী রোডের দারুল ফালাহ ক্যডেট মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ভন্ড শিক্ষক সাব্বির মিয়া মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গিপাড়া গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
রবিবার মির্জাপুর থানা পুলিশ ও মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী নুর ইসলামের মাতা রুবিনা বেগম জানায়, মির্জাপুর থানা থেকে ২০০শ গত দুরে বাওয়ার কুমারজানী রোডের দারুল ফালাহ ক্যডেট মাদ্রাসা মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র নুর ইসলাম। সে চতুর্থতলায় আবাসিক কক্ষে থেকে পড়াশোনা করতো। গত এক সপ্তাহ পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক টয়লেটের ভেতরে নিয়ে পায়ুপথে ধর্ষন (বলাৎকার) করে। এই ঘটনার পর নুর ইসলাম অসুস্থ্য হয়ে পরে। পরে ঘটানটি তার মাকে জানায়। সন্তানের এই অবস্থা জানতে পেরে শিক্ষার্থীর মা রুবিনা বেগম বাদী হয়ে গতকাল শনিবার মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামরা নং ১৮, তারিখ-২৩-১১-২০২৪ ইং। মামলার পর গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় পুলিশ আসার পর আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে মাদ্রাসার ভিতরে একজন শিশু শিশু শিক্ষার্থীর উপর এমন অমানিবক ঘটানয় ভন্ড মাদ্রাসা শিক্ষক সাব্বির মিয়াকে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে পায়ুপথে ধর্ষন (বলাৎকার করা) একটি দন্ডনীয় অপরাধ। ঘটনার পর শিশুর মা রুবিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক সাব্বির মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :