বরগুনার তালতলীতে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার ঘটনায় গুলি চালিয়ে এক যুবককে আহত করেছে মাদক কারবারি। এই ঘটনা বিক্ষুব্ধ জনতা মাদককারবারিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে। আহত মাদককারবারী ও গুলিবিদ্ধ যুবককে তালতলী থানা পুলিশ উদ্ধার করে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদক কারবারির গুলিতে আহত যুবকের নাম সগির হোসেন (৩৪)। মাদক কারবারি তার পায়ে গুলি চালিয়ে আহত করে। গুলিবিদ্ধ সগির হোসেন ঐ ইউনিয়নের বড়পাড়া এলাকার মন্নান হাওলাদারের ছেলে। মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী জাকির একই এলাকার ময়জ উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার ২৫ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পচাকোরালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাকির হোসেন এলাকায় বিভিন্ন সময় ইয়াবাসহ মাদক বিক্রি করে আসছে। এতে এলাকার সগির হোসেন সহ এলাকাবাসী মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়। এই জের ধরে ২৫ নভেম্বর সকালে সগির হোসেনের ভাই কবির হোসেন এলাকায় একটি দোকানে চা খেতে আসেন। এ সময় মাদক বিক্রেতা জাকির হোসেন কবিরকে দেখে গালিগালাজ করে ও মারধর করে। এই বিষয়টি ছোট ভাই সগিরকে জানায়। ঘটনাস্থলে এসে ভাইকে হেনস্তা করার প্রতিবাদ করলে মাদক কারবারী জাকিরকে তার সাথে থাকা নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে সগিরের পায়ে ৫ রাউন্ড গুলি করেন। এতে সগির হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় জনতা জাকির হোসেনকে অস্ত্রসহ আটক করে গনধোলাই দেয়। পরে পুলিশকে খরব দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশে এসে আহত সগিরকে উদ্ধার করে এবং সাথে থাকা বিদেশি ৯ এমএম পিস্তল,৭ রাউন্ড গুলিসহ জাকির আটক করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ঘটনায় আরও অস্ত্র থাকতে পারে সন্দেহে জাকিরের মাদক সেবনের ঘরে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালিয়ে একটি দেশিও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তালতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. ইমরান আলম বলেন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী জাকিরকে আটক করা হয়। ছগিরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পওে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন জাকির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :