কিশোরগঞ্জ এখন যানজটের শহর হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। যানজট থেকে কোনোভাবেই বাঁচতে পারছেনা শহরবাসী। দিন যত যাচ্ছে, যানজট তত বাড়ছে। এদিকে সরু রাস্তা ও যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগী ও শহর কেন্দ্রীক শিক্ষার্থীরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একরামপুর মোড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থার ‘হৃদযন্ত্র’ বলা হয়। কারণ এই তিন রাস্তার মোড় দিয়ে জেলার পূরর্বাঞ্চলের করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বাস, অটোরিকশা ও সিএনজিযোগে এই মোড় দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। যার ফলে মোড়টিতে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখে মিলে যানজটের। আবার বিকালে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির সময় দেখা যায় তীব্র যানজটের। একরামপুর মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও মোড়টির দক্ষিণ দিকে প্রায় এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থান কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের। স্টেশন রোড সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি মোড় থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম। প্রায় ২৫ বছর আগে নির্মিত মেডিকেল কলেজের সামনের এ সড়কের প্রস্থ মাত্র ১০ ফুট। সড়কটি সরু হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারও পথচারীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে সিদ্ধেশ্বরী মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়ক এতোটাই সরু যে, দুটি রিকশা পাশাপাশি চলতে সমস্যা হয়। এছাড়া সড়কে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বা ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ঢুকলেই লেগে যায় তীব্র যানজট। সেই যানজট কখনো কখনো পুরো সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। তখন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে খুব হিমশিম খেতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সরু সড়ক দিয়ে জেলা শহরের হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, ইটনা, মিঠামইন ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। এছাড়া রেলওয়ে স্টেশনে আসা ট্রেনের যাত্রী ও জেলার পূরর্বাঞ্চলের ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবহনকারী ট্রাক জেলার বাহিরে যেতে হলে এই সিদ্ধেশ্বরী মোড় হয়ে জেলা বাহিরে যেতে হয়। মোড়টিতে কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে রোগী, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ওই মোড়ে যানজটের বিষয়ে আমরা অবগত আছি । বদলি জনিত কারণে আমাদের সদস্য সংখ্যা কম। আমরা বর্তমানে বড়পুর থেকে একরামপুর মোড় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছি।
আপনার মতামত লিখুন :