উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত এসেছে। সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে শীতের সব শাক-সবজির। এতে কমতে শুরু করেছে দাম। তাই ক্রেতার মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি শুরু হয়েছে।
ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কৃষকরা নিজেদের চাষ করা শীতকালীন শাক-সবজি বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে এসে ঢুকাচ্ছে জেলার সব থেকে বড় শাকসবজির বাজার জেলা শহরে অবস্থিত শহীদ জিয়া বাজারে। সকাল থেকে সেখানে রঙবেরঙের শাক-সবজি কিনতে ক্রেতারাও ভিড় করছেন দোকানে দোকানে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লাউ প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৪০-৫০ টাকা ছিল। বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। পোটল বিক্রি ৩৫ টাকা কেজি। যা আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা। ফুলকপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। যা আগে ছিল ৬০-৬৫ টাকা। বাঁধাকপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। যা আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। মুলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। কাচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। যা আগে ছিল ৮০-১০০ টাকা। পেয়াজ এলসি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৪ টাকা। যা আগে ছিল ১০০-১১০ টাকা। ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। যা আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা। শাক সবজীর আমদানি বেড়ে দাম কমলেও বেড়েছে আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা আগে ছিল ৫৫-৬০ টাকা।
বাজারে সবজি কিনতে আসা আমিনুল, মাইদুল, জয়নালসহ অনেকে বলেন, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে দাম আরও কমা দরকার। দাম আরও কমলে স্বল্প আয়ের প্রতিটি মানুষ কিনে খেতে পারবে। আমরা আশা করছি আমদানি আরও বেড়ে শাকসবজীর দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল কাদের ও রাসেল মিয়া বলেন, বাজারে শীতকালীন শাক সবজির আমদানি বেড়েই চলছে। আমদানি বাড়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে। আশা করা যায় আরও আমদানি বেড়ে দাম আরও কমে যাবে। তবে আলুর দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়ে গেছে। ফলে আলু বিক্রি করতে আমরাও বিপাকেও পরছি। কিন্তু আমাদেরকেও বেশী দামে আলু কিনে ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আলুর দাম আরও বেড়ে যাওয়ায় খুবই অস্বস্তিতে পরেছেন ক্রেতারা। এনিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাজারে আসা নয়ন নামের এক আলু ক্রেতা বলেন, `শীতকালীন শাক সবজির আমদানি বাড়তে থাকায় আমরা কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছি। কিন্তু আলুর দাম চড়া হওয়ায় আমরা আলু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অঃদাঃ) এ.এস.এম.মাসুম-উদ-দৌলা বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে আলুর সরকারি মুল্য নির্ধারণ না থাকায় আমরা আলুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। আমাদের পাশাপাশি যদি সুশীল সমাজ ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলোও বাজার মনিটরিংয়ে এগিয়ে আসে তাহলে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।`
আপনার মতামত লিখুন :