ঢাকা বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদের বিরুদ্ধে ডাক্তার-স্টাফকে প্রাণনাশের হুমকি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ১১:১০ পিএম

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদের বিরুদ্ধে ডাক্তার-স্টাফকে প্রাণনাশের হুমকি

ডা. সামিরা হোসেন চৌধুরী। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামিরা হোসেন চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকি এবং অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাইনুল ইসলামকে শারীরিকভাবে হেনস্তা অভিযোগ উঠেছে একই হাসপাতালের প্রেষণে কর্মরত পরিসংখ্যানবিদ আসাদুজ্জামান ওরফে ভুট্টোর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ডা. সামিরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া ওই চিকিৎসক সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন। অভিযুক্ত পরিসংখ্যানবিদ আসাদুজ্জামান সরকারি চাকুরি করেও রাজনৈতিক কর্মকান্ড করার অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে ডা. সামিরার কাছে হাসপাতালের দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তথ্য জানতে চান। কিন্তু ডা. সামিরা সেই তথ্য দিতে তাকে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর গত শনিবার (২৪ নভেম্বর) আসাদুজ্জামান ডা. সামিরার দাপ্তরিক কক্ষে শক্তি প্রদর্শন করতে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এক পর্যায়ে আসাদুজ্জামান আক্রমণাত্মক হলে অফিস সহকারী মাইনুল ইসলাম আসাদুজ্জামানকে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদুজ্জামান মাইনুলকেও শারীরিকভাবে হেনস্তা করে গলা চেপে ধরে দেয়ালে ধাক্কা দেয় এবং ডা. সামিরাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরদিন গত রোববার ডা. সামিরা অভিযুক্ত আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং লালমনিরহাট সিভিল সার্জন বরাবর আলাদা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ বিষয়ে জানতে ডা. সামিরা বলেন, দু’দিন আগে মুঠোফোনে আমার কাছ থেকে টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। এটা গোপনীয় বিষয় তাই জানাইনি। কিন্তু ঘটনার দিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি আমার ওপর চড়াও হন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি এবং থানাতেও জিডি করেছি। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। 

এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামানকে তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে (01718268967) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি৷

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, অভিযোগটি যেহেতু সরকারি চাকুরিরজীবির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তার সুতরাং বিষয়টি তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগটি রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় হতে তদন্ত করা হবে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!