পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের নামে ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা চুক্তি করে প্রতারক চক্র। লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাশ করে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছে কয়েকজন। বগুড়ায় কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে ১২জন পরীক্ষার্থী ও চারজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, জেলায় কনস্টেবল নিয়োগের জন্য গত ১৪ অক্টোবর ৮০৭ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এরমধ্যে ১৭৮ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। গত রোববার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলাকালে ১২ জনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তাদেরকে পৃথক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তাদের হাতের লেখার গড়মিল পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থীরা জানায়, কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য দালালদের (প্রতারক) মাধ্যমে ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা চুক্তি করেছে। যেকারণে তাদেরকে লিখিত পরীক্ষায় স্বশরীরে অংশ নিতে হয়নি। ছবি পরিবর্তন করে দালালের সংগ্রহ করা প্রক্সি প্রার্থীরা লিখিত পরিক্ষায় তাদেরকে পাশ করিয়েছে। পুলিশ লাইন্স থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী এবং পরে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে চারজন দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থীরা হলো- সৈকত মিয়া, জিসান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল রাকিব, সিয়াম সরকার, রতন মিয়া, আবিদ হাসান, হাসিবুল হাসান ফাইম, সামিউল ইসলাম সিয়াম, মেহেদী হাসান, ফজলে রাব্বী, ফুয়াদ আলী, শাহীন আলম। এছাড়া চার প্রতারক- বুলবুল ইসলাম , ফজলুল কবির সোহাগ, আতিকুল ইসলাম এবং রাসেল।
বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান জানান, গ্রেপ্তার ১২জনের তথ্যে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। চারজন দালালকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে দুটি চেক ও ছয়টি ফাঁকা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বগুড়া পুলিশ লাইন্সের ইন্সপেক্টর মামুনুল হক বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :