ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে সচেতনতা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম

চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে সচেতনতা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পাসপোর্ট প্রতি অতিরিক্ত টাকা, গোপন কোড ব্যবহারসহ চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও গ্রাহকদের সচেতন করল স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাসপোর্ট অফিসে পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মামুন খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন ও তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অফিসের কর্মকর্তা, আনসার এবং অফিসের বাহিরের দোকানীদের সর্তক করেন।

এছাড়া দালালদের সাথে কোনো ধরনের লেনদেন না করার জন্য গ্রাহকদের সচেতন করা হয়।

পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. মামুন খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সামনে দালালরা কম্পিউটারের দোকান দিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাসপোর্ট অফিসের নামে ৯ থেকে ১৫ হাজার টাকা চুক্তি করে। এতে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ কারণে দালাল চক্রের দৌরত্ম্য বন্ধে দোকানে দোকানে গিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। দালালদের সাথে কোন ধরনের লেনদেন না করার জন্য গ্রাহকদের সচেতন করা হয়।

পাসপোর্ট করতে আসা মো. মিরাজ জানায়, আমি পাসপোর্টেরর আবেদনের জন্য কম্পিটারের দোকানে যাই। দোকানদার আমাকে কোন ধরনের হয়রানি করা হবে না বলে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা নেয়। পরে ছাত্রদল নেতা মামুনের সহায়তায় দোকানদার ২ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া আমি পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করেছি।

সচেতনতা কার্যক্রমে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কাউছার আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদল নেতা মিশু, শাকিল আহমেদ, সুজন, রুবেল, আনোয়ার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মহন মুন্সী, সানি, জিয়া, মেহেরাজ, মামুন, রায়হান, জনি, রিয়াদ সহযোগিতা করেন।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমার এরিয়ার মধ্যে দালালদের কোন দৌরাত্ম্য নেই। কেউ যদি অফিসের বাহিরে দালালের প্রতারণার শিকার হয় তার দায়ভার আমার নয়। দালাল নির্মূলে সবসময় আমরা প্রশাসনকে অবহিত করে থাকি।

আরবি/ এইচএম

Link copied!