টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের ০৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা (দক্ষিণ) গোয়েন্দা পুলিশ। ২৭ নভেম্বর বুধবার ভোরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানার কেল্লাবন্ধ এলাকার হলি ছাত্রাবাস থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার গন্ধবপুর গ্রামের মো. আবু বক্করের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৫), দ্রোড়াকান্দর গ্রামের দ্বীপক চন্দ্র রায়ের ছেলে হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন (১৯), বড়আমবাড়ী গ্রামের ওবায়দুল মিয়ার ছেলে তুহিম মিয়া (১৯) এবং এই চক্রের সহযোগিতায় গত ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার শ্রীহরিপুর গ্রামের মোঃ ছবুর উদ্দীনের ছেলে এস এম আয়াত (১৯), টাঙ্গাইল সদরের বাগবাড়ি (কাতুলী) গ্রামের মোহাম্মদ জাফর আলীর ছেলে মো. জিহাদ (১৯), টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া কালিকৈটাল গ্রামের জুব্বর সিকদারের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (১৯)।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর নকল প্রবেশ পত্র-৬০টি, ছবি- ৩২টি, বিভিন্ন নম্বর সম্বলিত এবং স্বাক্ষরিত ফাঁকা রাজস্ব স্ট্যাম্প- ৭০টি, বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক- ০৯টি, মোবাইল ফোন-০৭টি, কম্পিউটার পিসি-০১টি, হিসাবের ডাইরী-০১টি, স্ট্যাম্প প্যাড-০১টি, সিল-০২টি সহ ব্যাগ ০২টি এবং ০৩টি কভার ফাইল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এস এম আয়াত, মো. জিহাদ ও মো. আব্দুল্লাহ এদের লিখিত পরীক্ষায় খাতায় প্রাপ্ত নম্বর এবং তার মৌখিক পরীক্ষায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে অসঙ্গতি ও তারতম্য পরিলক্ষিত হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ের প্রার্থীগণ স্বীকার করে যে, গত ১৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় নিজেরা অংশগ্রহণ না করে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে অসাধুভাবে অন্য ব্যক্তিদের দিয়ে উক্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিয়েছিলেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি টাঙ্গাইল (দক্ষিণ) এর একটি টীম অভিযান পরিচালানা করে বাকী সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা, বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায়সহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চক্রবদ্ধভাবে জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করে। আসামিদের বিচারার্থে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উক্ত জালিয়াতির` জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করার লক্ষে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় পেনাল কোড ৪৪৮/৪১৯/৪২০/৪০৬/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা হয়েছে, মামলা নং - ২০।
আপনার মতামত লিখুন :