ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

কয়রায় অন্তাবুনিয়ায় সরকারি টিউবওয়েল ভেঙে ফেলার অভিযোগ

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

কয়রায় অন্তাবুনিয়ায় সরকারি টিউবওয়েল ভেঙে ফেলার অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খুলনার কয়রা উপজেলার অন্তাবুনিয়া গ্রামে জনস্বার্থে ব্যবহৃত খাস জমিতে স্থাপিত সরকারি টিউবওয়েল ভেঙে ফেলে পাইপ লাইন দিয়ে এককভাবে পানি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মাস্টার আবু মুসা গাজীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু ইছা গাজীর পুত্র শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ এ বিষয়ে অন্তবুনিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে মাহবুবুর রহমান, হাফিজুর, মাসুম, জোসনা খাতুন ও জাহানারা  উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর কাছে গত মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহারাজপুর ইউনিয়নের অন্তবুনিয়া গ্রামে সুপের মিষ্টি পানির তীব্র সংকট থাকায় কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস থেকে ২০০২ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগে রাস্তার পাশের সরকারি খাস জমিতে একটি গভীর টিউবওয়েল স্থাপন করে। টিউবওয়েলের পানি সুমিষ্ট হওয়ায় তিন গ্রামের মানুষ নিয়মিত টিউবওয়েল থেকে পানি পান করতো। সেই সরকারি খাস জমিতে স্থাপিত গভীর নলকূপটি ভেঙ্গে দিয়ে নিজে বসতবাড়িতে আলাদাভাবে একক পাইপ দিয়ে পানি নিচ্ছেন তারা। সে কারণে গ্রামবাসী পানি সংগ্রহ করতে পারছে না। জনস্বার্থে সরকারি টিউবেল হতে আগে ১৭০টি পরিবার পানি সংগ্রহ করতো বর্তমানে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শফিকুল ইসলাম এককভাবে ব্যবহার করায় কাউকে পানি সংগ্রহ করতে দেয় না। সে কারণে এলাকার মা বোনদের দূরে অন্যত্র গ্রাম হতে পানির সংগ্রহ করে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি বলেন, টিউবওয়েলটা মেলা পুরাতন ৫-৭ বছর আগে পাইপ ফেটে যেয়ে ব্রক হয়েছিলো পড়ে সরকারী এনজিও থেকে যে ভিট করে দিয়েছিলো ৩ বছর চলার পরে অকেজো হয়ে পড়ে। আমরা রিপিয়ার করেছি সাইটে একজায়গায় মাথা বসাবো।

উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইসতিয়াক আহমেদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!