রাঙামাটির সাজেকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু`পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ১০নং কিচিং পাড়া এলাকায় ইউপিডিএফ মূল দল এবং জেএসএস মূলের মধ্যে এক বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক গোলাগুলি বাধে। এ সময় ইউপিডিএফ (মুল) এবং জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলিতে জেএসএসের ৪-৫ জন আহত হওয়ার খবর শুনা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নং সাজেক ইউনিয়নে ইউপিডিএফের মুল দলের কমান্ডার মঙ্গল চাকমা ও দেবাশীষ চাকমার নেতৃত্বে প্রায় ৩০জন এবং জে এসএস মুল দলের কমান্ডার তীপ্তি চাকমার নেতৃত্বে ২৪-২৫ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুপক্ষের মধ্যে প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয় বলে জানা যায়।
সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফ মুল দল পরিকল্পিত হামলায় এই গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফ মুলদল পরিকল্পিত হামলায় জেএসএসের ৪-৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে পরবর্তীতে জেএসএসের আরো কিছু সদস্য (১৫-১৬ জন) উক্ত স্হানে গিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে গোলাগুলিতে অংশ নেন। অপরদিকে ইউপিডিএফ ঘটনা ঘটিয়ে পিছনে সরে গিয়ে হলেন্দ্র কাবর্বারি পাড়া এবং বালু আদাম এলাকায় চলে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক কাটেনি। তবে এই সংঘর্ষের ঘটনায় সাজেকগামী পর্যটকবাহী যান চলাচল বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এসপি পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ বলেন, সাজেকে গোলাগুলি হয়েছে তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা হওয়াতে খবরাখবর পাওয়া দোষকর। তবে গোলাগুলি হয়েছে সেটা সত্য।
আপনার মতামত লিখুন :