বগুড়ার ধুনটে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের মরিচতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিন প্রামানিকের মেয়ে তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী মৃত অমতুল্লাহ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও লাল মিয়া গংদের সাথে বাড়ির সিমানা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬ নভেম্বর সকালে তাছলিমা খাতুনের বাড়ির সিমানা থেকে প্রতিপক্ষরা মাটি কাটতে থাকে। তখন মাটি কাটার কাজে বাধা দিয়ে মেম্বারের কাছে বিচার চায়। পরবর্তিতে মেম্বার তাদেরকে ডাকলে প্রতিপক্ষরা শালিসী বৈঠকে হাজির হয় নাই। এরূপ চলাকালে ২৯ নভেম্বর বিকালে প্রতিপক্ষগন তাছলিমার বাড়িতে এসে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
অভিযোগের বাদি তাছলিমা খাতুন জানায়, প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে লাঠি সোটা, রামদা, রড ও মারাত্বক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে নগদ দেড় লাখ টাকা, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার গহনা, বাড়িঘর ভাংচুর করে আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। প্রতিপক্ষরা আমার মাকে রড দিয়ে আঘাত করে হাত ও পা কেটে দেয়। আমার ছোট ভাগিনা ইয়াছিনকে লাঠি দ্বারা ডান হাতে আঘাত করে ভেঙ্গে দেয় এবং আমাদের কে এলোপাথারী কিলঘুষি মারে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এবং সরকারী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে আমার মা ও আমার ভাগিনাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপালে ভর্তি করে নেয়।
বিবাদী জানান, আমার ছেলের সাথে তাসলিমার ভাগ্নে কথা কাটাকাটি হওয়ার জেরে ওর ভাগ্নেই আমার ছেলেকে মারধর করেছে। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ধুনট থানার এসআই মোস্তাফিজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।