ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

টার্গেট পূরণে আগাম লবণ উৎপাদনে নেমেছে চাষিরা

এস কে লিটন, কুতুবী
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টার্গেট পূরনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়ে প্রান্তিক চাষিরা আগাম লবণ উৎপাদনে নেমেছে। বেশ কিছু এলাকায় উৎপাদিত লবণ বিক্রি করার দৃশ্য চোখে পড়েছে। দেশে এ বছর লবণের সার্বিক চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। এ চাহিদার যোগান দিতে চলতি মৌসুমে প্রান্তিক চাষিরা আগাম লবণ উৎপাদন কাজ শুরু করেছে। আগামী মে মাস পর্যন্ত সাগরের নোনাপানি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুকিয়ে পলিথিনের উপর সাদা লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ শুরু করেছে চাষিরা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসের শেষে কুতুবদিয়ায় প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়। ইতোমধ্যে এ উপজেলার লবণ চাষের শতভাগ জমিতে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে । এ ছাড়াও পেকুয়ায়, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ, বাঁশখালীতে লবণ উৎপাদনের মাঠ ৭০ শতাংশ  প্রস্তুত হয়েছে। বাকি উপজেলার চাষিরাও মাঠে নামতে শুরু করেছেন।

বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল ভুঁইয়ার সাথে লবণ উৎপাদনের ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, গত শুস্ক মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন। চাষ হয়েছিল ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে। দেশে  ৪ লাখ ১ হাজার ৭৮৫ টন লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে। এ বছরও লবণ চাষের জমি আরো বাড়বে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও ছাড়িয়ে যাবে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।

কুতুবদিয়া উপকূলের লবণ চাষি নুরুল ইসলাম জানান,গত বছর লবণ উৎপাদনের টার্গেট পূরণ হলেও লবণের মূল্য প্রতি মন ৫শ থেকে ৬শ টাকা। এতে লাভবান ছিল চাষিরা। তার পাশাপাশি জমির মালিকরা বর্গা লাগিয়ত পেয়েছে আশানুরূপ। চলতি বছর আগাম লবণ উৎপাদন হলেও মূল্য নেই। বর্তমানে উৎপাদিত লবণ প্রতিমন ১৮০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। শুরুতেই লবণের মূল্য না থাকায় চাষিরা হতাশায় ভোগছেন। চলতি বছরও চড়া মূল্যে লবণ মাঠের জমি আগাম নিতে হয়েছে।

লবণ ব্যবসায়ী আলহাজ আবু মুছা জানান, মুষ্টিমেয় ৮/৯ উপজেলায় লবণ উৎপাদন করে দেশের ৬৪ জেলার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় লবণের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।